Friday, April 24, 2009 at 11:22am | Edit Note | Delete
আমি জারি করছি দোররা কাউয়া পৃথিমীর শেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা। যে ইহা মানবেন না, না মানেন। ইহাতে কেহেরমানের কিছুই যায় আসে না। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ বলেছেন, ইহার তুল্য অন্য কেহ কোনো কবিতা দেখাইতে পারিবে না। ইহা এক নম্বর। এক নম্বর। অবশ্যই এক নম্বর।
এই কবিতাটি আসলে রচিত হয়েছিল পাঁচ হাজার বছর আগে। শেহেরজাদীর জন্মেরও বহু আগে। বাদশাহ নামদার শেহেরজাদীর অতি কামুক গল্প শুনে যখন তার মাল আপনি আপনি বের হয়ে যেত, তখন শেহেরজাদী কাপড় খুলে নাঙ্গা হয়ে এই কবিতাটি বাদশাহের কানে কানে বলত। কারণ শেহেরজাদী নিজেও গল্পের প্রভাবে ভীষণ গরম। ইহা ঠাণ্ডা করার নিমিত্তে এই দোররা কাউয়া কবিতা বললেই বাদশাহ নামদার আবার কামদার হয়ে উঠতেন। এবং পুনরায় তিনি শেহেরজাদীকে ঠান্ডা করতে সক্ষম হতেন। আরব্য রজনীতে ইহা লেখা আছে।
পরীস্থানেও এই কবিতাটি হেরেমখানায় সোনা দিয়া খাটের সামনের দেওয়া বাঁধানো থাকত। আপনার জানেন কিনা, মিশর দেশীয় খ্লিওফেট্রা নাম্মী এক কালো সেক্সী রমণী এই কবিতাটি তার নগ্ন স্তনে আঠা দিয়া লাগিয়ে রাখতেন, যা তার মৃত্যুর পরে তার লাশের সাথে কবরস্থ করা হয়েছিল। এইটাই ছিল খ্লিওফেট্রার অন্তিম ইচ্ছা। ব্রাত্য রাইসু নওগাঁর কিএকটা খেয়ে যাদুর কাপেট পেয়ে গেছিলেন। সেই যাদুর কারপেটে করে ভ্রমণকালে মিশর দেশে গিয়েছিলেন। তখন খ্লিওফেট্রার কবর খুড়িয়া কবিতাখানা বের করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। জাতির এক মহা উপকার হিসাবে কাজ করেছে। আপনাদের আমি আরও জানাই, বর্তমানে যেসব দেশে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ, সেইসব দেশে ভায়াগ্রার বদলে এই কবিতাটি ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করছেন। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ এই সকল সত্য ঘটনা জানেন। জানেন বলেই তিনি জারি করেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা- দোররা কাউয়া। অন্য কোনোটা নহে। পরিস্কার বিষয়টা?
অবিশ্বাসীরা কবিতা পড়া ছেড়ে দিন। কী, আর করবেন। আপনাদের কাব্য রুচি নাই। কিছুদিন চটি পড়ুন। তাহলে রুচি ফিরে পাবেন।
........................................................................................................................
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে/ ব্রাত্য রাইসু
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
...........................................................................................................................
সোহেল হাসান গালিবের নোট-
অস্তিত্বসংকটসংক্ষুব্ধ কবির পাশে দাঁড়াই আসুন
কিছুদিন হলো কবিতাকথা গুগলগ্রুপে কবিতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি ও তারিক টুকু পূর্বসূরিদের কাব্যকৃতির একটা খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছিলাম। কোনো আড়াল না রেখে। স্বভাবতই প্রকাশ পাচ্ছিলো ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। এ আলোচনায় তারপর যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এবং কথার সূত্র ধরে পরিবেশের আনুকূল্য অনুভব করে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।
পাকেচক্রে এইখানে সমালোচিত হয়েছেন : ১. সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, ২. কামরুজ্জামান কামু, ৩. ব্রাত্য রাইসু, ৪. সুমন রহমান ৫. শামসুর রাহমান, ৬. আল মাহমুদ, ৭. মোহাম্মদ রফিক।
সুমন রহমান যেমন ব্যক্তিগতভাবে, আজিজ সুপার মার্কেটে, আমাকে জানিয়েছেন সুব্রতর কবিতা হয় না, বরং তার গল্প ভালো, আমি তেমনটা করি নি। আমি সুব্রতর কবিতাকে কীভাবে দেখি তা কবিতাকথায় সরাসরি লিখে জানিয়েছি। তখন সুমন ভাই আলোচনায় আসেন নি, তিনি এসেছেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ প্রসঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম প্রায়-সামসময়িকদের নিয়ে আমরা ব্যক্তিসম্পর্ক ভুলে গিয়ে মনের কথা বলি।
এ থেকে আক্রান্তদের কারো কারো এ ধারণা তৈরি হলো, আমরা মোড়লিপনা করছি। এবং যেহেতু কালবিচারে আমরা শূন্যদশকে অবস্থান করি, সেহেতু এ বয়ানও হাজির করা হলো, গালিব ও টুকু শূন্যের ইজারা নিয়েছে। নিজেদের পছন্দ অপছন্দ থেকেই আমরা কথা বলেছি এবং বলার পর কেউ যখন জানতে চেয়েছেন, কেন তাকে একথা বলা হলো, তার ব্যাখ্যা হিশেবে যা আমরা ধারণ করি, তাই জানিয়েছি। তারিক টুকু সুব্রতদার দুটি বই নিয়ে কথা বলার পর, আমি কবিতাকথা গ্রুপে সুব্রতদার চিঠি পড়ে এ সংক্রান্ত নিজের ব্যাখ্যা হাজির করেছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ যখন প্রথম পাখি বলে নামের এক ফেসবুকিয়ান-এর কাছে আক্রান্ত হন, তখন সেখানে রাইসুদা যেমন প্রতিবাদ করেছিলেন, টুকুও করেছিলেন। আমি তখন ফেসবুকে পাখি বলে বা গোমেজের বন্ধু নই বলে বিষয়টি জানতাম না। কোনো অগ্রজের সাথেই আমরা এমন কোনো ব্যবহার করি নি যা শ্লীলতাকে অতিক্রম করে কিংবা তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্ত করে। ভাস্কর আবেদিনের কথা আলাদা। বাকযুদ্ধে শিষ্টাচারের মাত্রা নিরূপণে মেধার ঘাটতি থাকতে পারে তার। সেক্ষেত্রে আত্মসংবরণে অনুদারতা সম্ভব আমারও।
ব্রাত্য রাইসুকে যতদিন ধরে দেখি আসছি, তাকে জানি তর্কপ্রিয়, প্রশ্নপ্রবণ ও যু্ক্তিজ্যান্ত মানুষ হিশেবে। স্রোতের বিপরীতে একা দাঁড়াবার ও চিন্তা জাগাবার শক্তি তার আছে। সেটা যত ভ্রমাত্মকই হোক না কেন। প্রিয় রাইসু ভাই, আপনি যে ফেসবুকস্থ "আলজিভের প্রকটন" লেখাটিতে গালিব ও টুকুকে প্রকারান্তরে শূন্যের ইজারাদার বললেন, তার যুক্তি কী? আর সুব্রতদাকে কাঙালভাবে এসব কী বললেন :
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
সুব্রতদা যা বলার তা তো তারিক টুকুকে লেখা চিঠিতে বলেই দিয়েছেন। আর কী শুনতে চান আপনি, রাইসুদা! আপনার কবিতা কেউ কেউ নিতে পারে না, সেটা দোষের নয় বোধহয়। তার জন্যে কন্ট্রিবিউশন নিয়ে কম্পেয়ার করতে হবে? উচিৎ কি তব ভ্রাত, অনুজেরে আপনি টানিয়া লও নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে!
আমি বরং এই ফোরামের বন্ধুদের সামনে কবিতাটা উপস্থাপন করছি, আসুন না আমরা কবিতা ধরে কথা বলি। আশা করছি এ ফোরামের সভ্যগণ নীরব থাকবেন না। কারণ এ কবিতাটিকে রাইসু ভাই কেন মরণকামড় দিয়ে ধরে আছেন তা যেমন বুঝছি না, একই সঙ্গে এ কবিতাটি সত্যি সত্যি কাদের মন ছুঁলো, তাও জানতে পারছি না।
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
মূল নোটটি পড়তে খ্লিখ করুন-
http://www.facebook.com/inbox/readmessage.php?t=1034658156723&f=1&e=0#/note.php?note_id=72220558534&ref=mf
Written 19 hours ago · Comment · LikeUnlike · Report Note
You, Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Tarique Tuku
Tarique Tuku at 3:44pm April 23
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
বহুদিন মনে থাকবে এই আকুতি। :)
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 4:17pm April 23
ব্রাত্য রাইসু আজিজ মাক্কেটে আঃ আঃ করে রে
সুমন রহমান এঞ্জিও-তে ওঃ ওঃ করে রে
কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে...
সাজ্জাদ শরিপ আলু অফিসে ম্যাও ম্যাও করে রে
ব্রাত্য রাইসু সাজ্জাদ শরিপের পা চাটে রে... Read More
সুমন রহমান ব্রাত্য রাইসুর কলম চুশে রে
ওরে সুমন রহমান রে, ওরে সাজ্জাদ শরিপ রে
ওরে ব্রাত্য রাইসু রে, সবাই ফেসবুকে রে
তারা সবাই কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে
কলম চুষেরে, তেল মারে রে, আঙুল দেয় রে...
ওরে ওরে তারা উত্তুরাদিক রে...
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:29pm April 23
লেখা খুব ছোটো দেখতে পাচ্ছি। তাই পড়তেও অসুবিধা হলো। রাইসু এবং তার বন্ধু সুমন রহমানের বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে বলে লিখছি। রাইসুকে চিনি নববই এর মাঝামাঝি থেকে। তখন তার বগলে নানা নতুন নতুন বই শোভা পেত(এখন যেমনটা করেন শামীম রেজা) এবং খুব উদ্ধত থাকতেন উনি। বাংলা কবিতায় তার সমান কীর্তি আর কারও নেই বলে প্রকাশ্যই বলতেন। তার সাথে যারা চলতো তারা তাকে বেশ অসম্... Read Moreমানই করতো ভেতরে ভেতরে। সাহিত্যের গ্রুপ যেটা বুঝায় এদেশে সেটা সবচেয়ে সফলভাবে করেছেন রাইসু, নিজেদের কিছু অনুগত বাহীনি তৈরী করে যেমন সাইমন জাকারিয়া, যেমন অবনি অনার্য বা ইমরুল হাসান। কোনো একজন পাঠকের কাছেও এই তিনজনের বিশেষ কোনো গুরুত্ব আজ পর্যন্ত দেখলাম না।
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:30pm April 23
সুমন রহমান প্রসঙ্গ ভিন্ন। সুমন রহমানের বই ঝিঝিট নিয়ে তার আশা ছিল অনেক। একারণে তিনি বিভিন্ন লাইনঘাট করে সাজ্জাদ শরিফ পর্যন্ত পৌছান, সাজ্জাদ নাকি নিজে বলেছিলেন তিনি বইটির রিভিউ করবেন। এই কথা সুমন এখণো তার বন্ধুদের কাছে বলে বেড়ান। সাজ্জাদ বইটির রিভিউ নিজে না করায় সুমন যোগ দেন সাজ্জাদ বিরোধীদর সাথে।
আজিজ মাকের্টের কোনায় দাড়িয়ে গাজা খাওয়া এদের কাজ। এ... Read Moreখানে আপনি পাবেন, কাজল, রিফাত,কফিল আহমেদ এবং সুমন রহমানদের। সাজ্জাদ বিরোধীদের গ্রুপে যোগ দিলেও সুমন সমান্তরালভাবে সাজ্জাদের সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলেন এখোনো।কথিত আছে, সাজ্জাদ শরিফকে তার বন্দুদের সম্পর্কে বিষিয়ে তোলেন সুমন রহমান। এমনকী ২০০৬ এ সুব্রত এবং মাসুদ খানের বই বাদ দেয়ার পিছনেও বেশ হাত ছিল তার।
আপাতত এই থাক, ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে, ল্যাপটপ এখনি বন্ধ হয়ে যাবে।পরে আরও লেখা যাবে
Tanvir Mahmud
Tanvir Mahmud at 8:19pm April 23
কেউ যখন বলেন আর কোন সাহিত্যকির্তী আছে কিনা তার কোন একটি বিশেষ লেখার কাছাকাছি আসতে পারে, আমার কাছে তখন ওই দাবিকে সঠিকই মনে হয়। এই দাবিতে এক শিশুসুলভ জেদের প্রকাশ আছে। আর আসল কথা হল, ওই কবিতার কাছাকাছি অন্য কবিতা কেনইবা দাঁড়াতে যাবে? ওই কবিতাটি কি কোন স্ট্যান্ডার্ড যার কাছে অন্য কবিতাকে পৌঁছাতে হবে? কেন কাউকে ওনার মাণ-BSTI পাশ করতে হবে? স্বাতন্ত্র্য কি ওনার ভেতর দিয়ে তৈরী হয়? আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বোধ করি আছে আমাদের।
সব কবির স্বাস্হ্য ও সৌন্দর্য কামনা করছি।
তানভীর।
Shaikh Muhammad Allayear
Shaikh Muhammad Allayear at 1:16am April 24
কবিতা লিখি বলে আমি আলোচ্য কবিতার কবি কে একজন কবিতা কর্মী হিসেবে বলতে পারিনা যে এটা একটা কবিতা না। কারন কবিতা একজন কবির নিজস্ব ষ্টাইল বহন করে। বরং কবি কে যুক্তি খন্ডানোর জন্য দাবী জানাতে পারি তাতে তার ষ্টাইল সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল হতে পারি।
আর পাঠক হিসেবে আমি এই কবিতাকে খারিজ করবো। আমার কাছে এটা কোন কবিতাই মনে হয়নাই। এই কবিতায় প্রতিটি লাইনের শেষে ... Read More"এ" ধ্বনিতে কতগুলো বিদঘুটে শব্দ উচ্চারনের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হইছে মাত্র।
কবিতায় অনেক সময় অনেক খিস্তি এসে হাজির হতে পারে, যদি সেটা দাবী রাখে আসার। কিন্তু সেই আসাটাকে আমি তখনি মেনে নেবো যখন তার টিউন টা ভালো লাগবে। আমার কাছে এই খানে "গোয়া মারে রে গোয়া মারে রে" এই ব্যাপার কে খিস্তি ছারা আর কিছু মনে হইলোনা।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:35am April 24
"দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে" কবিতাখান আমার ভাল লাগে নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:45am April 24
এতদিনে কবিতা পড়ে যে অভজ্ঞতা জমা হইছে, ভাল লাগার যে উপাদানগুলা নিজের ভেতর সক্রিয়, উক্ত কবিতার ভেতর সেই ভাল লাগার কোন উপাদানই নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:47am April 24
#যে অভিজ্ঞতা - পড়তে হবে।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 3:01am April 24
"তোমার বা আমার মত বড় কবির পাঠক হইতে পারাই ওনাদের জন্য যথেষ্ট। আর এঁদের লেখাও এক সময় নিশ্চয়ই আমি পইড়া উঠতে পারব"
রাইসু ভাই, আপনে এইখানে বড় কবি মানে কী বয়সে বড় বুঝাইছেন? নাকি কবি হিসেবে বড় বুঝাইছেন?
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 4:30am April 24
কবিতাটা আমার ভালো লাগছে বলতে পারছি না, তবে "ভাল্লাগছে" পর্যন্ত বলা যায়।
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 4:46am April 24
জীবনানন্দ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেদিন ভূমেন্দ্র গুহ তাঁর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে দেয়া বক্তৃতায় বলেন যে, কবিরা এক ধরনের মানসিক রোগে ভোগেন। রোগের নামটা মনে রাখতে পারি নি। এই রোগ নিজেকে অনেক বড়ো কিছু একটা ভাবতে সহায্য করে। কারোর কারোর রোগের মাত্রাটা বেশি থাকে, রাইসুরও একটু বেশি আছে।
আর 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে' লেখাটা একটা ট্র্যাশ মাত্র।
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 5:02am April 24
http://www.somewhereinblog.net/blog/mukhforrblog/10631
Papree Rahman
Papree Rahman at 6:58am April 24
An author’s personal life shouldn’t be discussed.
He/She might be a drunkard or a drug-addict in his/her personal life; that’s none of our concern.
We are supposed to care about his/her writing & not his/her private life.
Why Bratya Raisu showed up too much self-satisfaction about this poem only he can explain better.
He’s been tagged here.... Read More
So, we can wait & see.
Expectantly he’ll make things clearer.
Alif Dewan
Alif Dewan at 9:51am April 24
বাথ্য রায়চু "গুয়ামারা" কভিথাকানা লই এত গর্ভিত কেনু? সে পিতিভিকে একঠি "গুয়ামারা" উপুহাড় দিয়াচে, কিন্থুক পিতিভি তাহাকে দুই দিন বাদে বাদেই বিপুল্ল পড়িমানে গুয়ামারা দিয়া ছলিতেছে। তাহার "গুয়ামারা" হইথে উত্থম গুয়ামারা কুঝিথে গেলে কাহারটা পেলি কাহারটা বাছিভ, বুজিথে নারি।
বাথ্য রায়চুর কবিথা বিশয়খ গুড়াক্রিমি হইয়াচে। তাহাক ওশুদ পধান করা পয়ুজন।
Written on Friday · Comment · LikeUnlike
You, Jahir Ahmed, Alif Dewan and শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন like this.
Jahir Ahmed, Alif Dewan and শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন like this.
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন at 11:28am April 24
nice work কেহেরমান'vai...
সুমন কেহেরমান
সুমন কেহেরমান at 11:37am April 24
ইহা ১০০% খাটি মাল। কোনো ভেজাল নাই। কেহেরমান গাজা খাইতে পারে, কিন্তু কোনো ভেজাল বলে না।
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন at 11:39am April 24
ha ha ha...
oti uttom...oti uttom...কোনো ভেজাল নাই dada...
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 11:39am April 24
সঠিক তথ্য হলো, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ এই লেখারে কোনোকালেই খুব ভালো কবিতা বলেন নি, বলেছেন ব্রাত্য রাইসু নিজে। সুমন রহমানও এই কবিতারে ভালো বলেন নি, বলেছেন সুমন কেহেরমান।
'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে' একটা ট্র্যাশ।
সুমন কেহেরমান
সুমন কেহেরমান at 12:02pm April 24
Muzib Mehdy... Read More@ "তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
এইটা কাহার লেখা? সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ নামে ঢাকা ইউনির ইংরেজির মেধাবী ছাতেো লেখা এই চিঠি। নোটটি ঠিক করে পড়েন। কেহেরমান কখনো ভেজাল কিছু বলে না। ১০০% খাটি। আপনার চটি সাহিত্যে কিঞ্চিত ঘাটতি আছে। চিন্তা নাই। দোররা কাউয়া কবির লগে যোগাযোগ করুন। তিনি সাপ্লাই দেবেন। তার স্টক ভাল। আর রাতে বিছানায় যাওয়ার আগে অবশ্যই দোররা কবিতাখানা তিনবার (3 times) পাঠ করতে ভুলবেন না। খুব খেয়াল কহরা। হুম্।
Alif Dewan
Alif Dewan at 12:46pm April 24
বাথিজা তুই পরিশ্গাঁড় করি বল্ল। এই কভিথাই বাথ্য রায়চু কি দোরা কাউয়া আর ছজ্জাদ শড়িপ কি পাথি কাউয়া? নাকি উল্ঠা বলিলাম?
Kalo Kali Das
Kalo Kali Das at 1:12pm April 24
ভ্রাতাগণ,এতসব শারীর বৃত্তিয় জিনিস-পত্রের আমদানি কি না করিলেই নয়?
স্ল্যাং না বলিয়াও তো অনেক মন্দকে বলা যায়, ভ্রাতা।নাকি যায় না?
অধিক অরুচিকর কিছু বেশিদিন কেহই খাইবে বলিয়া বোধ হয়না।
যেমন মহাকবি/পাতিকবিদের কিছুই এখন কেহ তেমন আর খাইতেছে না।
Kalo Kali Das
Kalo Kali Das at 1:26pm April 24
>>>
মহাকবি আর পাতিকবি এইবার পলে পলে অনুধাবন করিতেছে ঠ্যালার নাম বাবাজি কাহাকে বলে?
যাহারা দিবসের পর দিবস নিজেদের কবরের মাটি নিজেরাই খুঁড়িয়াছে!
'খোমা খাতা' সাজ্জাদ শরিফের গংদের সাহিত্য পাতা নহে যে যাহা খুশি তাহা কুকর্ম করিয়া পার পাইয়া যাইবে।
দিবস বদলাইয়া গিয়াছে। আমজনতা প্রতিবাদের ভাষা দখল নিয়াছে।... Read More
আসিতেছে শুভদিন। বাংলা সাহিত্যে 'গণতন্ত্র' প্রতিষ্ঠিত হইল বলিয়া।
আসুন আমরা একযোগে 'স্ব ঘোষিত রাজা-উজিরদের' উৎখাত করি।
দড়ি ধরে মার টান
রাজা হবে খানখান...
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 1:39pm April 24
কেহেরমান আজ নিশ্চিত গাঁজা খাইছেন, কিন্তু আমি তো জানতাম আপনি গাঁজা খান না।
এইখানে রাইসুরে ট্যাগ করেন, উনিই এসে বলবেন যে ওই কথা রাইসুর নিজের, সুব্রতদার না।
সুমন কেহেরমান
সুমন কেহেরমান at 1:45pm April 24
গাঁজা ভাল জিনিস। মাঝে মাঝে খাইবেন। মাথা সাফ হবে। মাথা সাফ তো দিল সাফ হবে। দিল তো পাগল হ্যায়। খুব খেয়াল কইরা। হুম।
সুমন কেহেরমান
সুমন কেহেরমান at 2:11pm April 24
ব্রাত্য আর সুব্রতর মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে? ওরাতো জানি-দোস্ত। ব্রাত্য যদি বলে ওইটা শিল্পা শেঠি না, ওইটা ম্যাডোনা। আর তক্খুনি সুব্রত বলে, তুই ঠিকই কইছস। ওইটা অর্জিনাল ম্যাডোনা। তাইলে ব্রাত্য বা সুব্রত এই দুজনের মধ্যে কে বলল, সেইটা দিয়া কি কাম। কি কইসে, সেইটাই আসল। হুম।
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 10:08pm April 24
hahaha
Wednesday, April 29, 2009
কেহেরমান যে চিঠিটি ই-মেইল বক্সে পাইল-
''সুমন কেহেরমানের কার্যাবলীঃ
শাহীন আখতার নাম্নী জনৈক লেখকের সহিত সুমন রহমানের হৃদয় ঘটিত বিষয় থাকাতে তাহারা যৌথভাবে কাজ
করিতে উদ্যোগি হয়।যাহার ফল স্বরুপ তাহারা ‘সতী ও স্বতন্তরা’ নামক গ্রন্থখানি ‘একশন এইড’ হইতে সম্পাদনার সুযোগ
লাভ করে। হৃদয়ের প্রাবল্যে সুমন সম্পাদক হিসাবে শাহিনের আধিপত্য মানিয়া লয়।কিন্তু ঝামেলা বাঁধিয়া যায় শাহীন,জাহিদুর
রহিম অঞ্জনকে বিবাহ করায়। দিলে চোট পাইয়া সুমন বখরা লইয়া বাড়াবাড়ি শুরু করে।পনের লক্ষ টাকার সাত লক্ষ সে দাবি করিলে শাহীন বাঁকিয়া বসে। উক্ত টাকায় শাহীন স্বস্বামী কোলকাতায় হানিমুন করিতে গেলে, সুমন উন্মাদগ্রস্ত হইয়া শাহীনের নামে যাতা বলিয়া মেইল পাঠায়। সুমনের এহেন কাজ-কর্মে শাহীনের স্বামী ক্ষেপিয়া যাইয়া প্রকাশ্য দিবালোকে আজিজ
সুপার মার্কেটে সুমনকে বেদম প্রহার করে।
সুমন কেহেরমান, আপনাকে আপনার নিজ কর্ম স্মরণ করাইয়া দিলাম।''
কেহেরমান যাতা খুশি করতে পারে। তাতে কার কি? সে কোন ভীন্নমত পসন্দ করে না। এইটা যিনি আমাকে অপমান করতে পাঠাইছেন, তাতে আমার কিছুই যায় আসে নাই। তার নিজেরই অপমান হইসে। মান-অপমান বইলা কোন ব্যাপার সুমন কেহেরমানের নাই। হুম। দাড়ান, শামসেত তাবরেজজীরে পাঠাইতেছি।
Updated on Sunday · Comment · LikeUnlike
You, Alif Dewan, Jahir Ahmed and Kalo Kali Das like this.
Alif Dewan, Jahir Ahmed and Kalo Kali Das like this.
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 1:37pm April 26
ei sumon e ki vdo sumon name porichito?
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 2:12pm April 26
আমার জানামতে শাহীন আখতারের সঙ্গে সুমন রহমানের কোনো হৃদয়ঘটিত ব্যাপার ছিল না। অ্যাকশনএইডের কাজটি করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে একটা সমস্যা হয়, যেজন্য সুমন রহমান তাঁর শ্রমের বিপরীতে কোনো অর্থমূল্যই পান নি বরং আজিজ মার্কেটে জনসমক্ষে অঞ্জন ভাইয়ের দ্বারা অপদস্থ হন। শুনেছি ওই প্রকল্পের প্রস্তাবনাটি নাকি সুমন রহমানই লিখেছিলেন।
কিন্তু এসব কথা এভাবে ফলাও করে প্রচারের কী দরকার? মেইলটাই বা কার থেকে পেলেন সুমন কেহেরমান?
Alif Dewan
Alif Dewan at 4:21pm April 26
আমার পিয় বাথিজা ফেসিবাদ সুমন রহমান উর্পে দীন মহাম্মদের গাই হাথ তুলিচে কুন সে ভদমাইশ অনঝম? বাথিজারা তুরা এই অমঝমের টিখানা কাগুকে দে, কাগু যাই তারে ফিডি সুজা করিভেক!!!
Dobar Bang
Dobar Bang at 6:29pm April 26
ফেছিবাদি সুমন রহমান, আর কত স্বমেহন করবি?
শাহীন আখতার নাম্নী জনৈক লেখকের সহিত সুমন রহমানের হৃদয় ঘটিত বিষয় থাকাতে তাহারা যৌথভাবে কাজ
করিতে উদ্যোগি হয়।যাহার ফল স্বরুপ তাহারা ‘সতী ও স্বতন্তরা’ নামক গ্রন্থখানি ‘একশন এইড’ হইতে সম্পাদনার সুযোগ
লাভ করে। হৃদয়ের প্রাবল্যে সুমন সম্পাদক হিসাবে শাহিনের আধিপত্য মানিয়া লয়।কিন্তু ঝামেলা বাঁধিয়া যায় শাহীন,জাহিদুর
রহিম অঞ্জনকে বিবাহ করায়। দিলে চোট পাইয়া সুমন বখরা লইয়া বাড়াবাড়ি শুরু করে।পনের লক্ষ টাকার সাত লক্ষ সে দাবি করিলে শাহীন বাঁকিয়া বসে। উক্ত টাকায় শাহীন স্বস্বামী কোলকাতায় হানিমুন করিতে গেলে, সুমন উন্মাদগ্রস্ত হইয়া শাহীনের নামে যাতা বলিয়া মেইল পাঠায়। সুমনের এহেন কাজ-কর্মে শাহীনের স্বামী ক্ষেপিয়া যাইয়া প্রকাশ্য দিবালোকে আজিজ
সুপার মার্কেটে সুমনকে বেদম প্রহার করে।
সুমন কেহেরমান, আপনাকে আপনার নিজ কর্ম স্মরণ করাইয়া দিলাম।''
কেহেরমান যাতা খুশি করতে পারে। তাতে কার কি? সে কোন ভীন্নমত পসন্দ করে না। এইটা যিনি আমাকে অপমান করতে পাঠাইছেন, তাতে আমার কিছুই যায় আসে নাই। তার নিজেরই অপমান হইসে। মান-অপমান বইলা কোন ব্যাপার সুমন কেহেরমানের নাই। হুম। দাড়ান, শামসেত তাবরেজজীরে পাঠাইতেছি।
Updated on Sunday · Comment · LikeUnlike
You, Alif Dewan, Jahir Ahmed and Kalo Kali Das like this.
Alif Dewan, Jahir Ahmed and Kalo Kali Das like this.
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 1:37pm April 26
ei sumon e ki vdo sumon name porichito?
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 2:12pm April 26
আমার জানামতে শাহীন আখতারের সঙ্গে সুমন রহমানের কোনো হৃদয়ঘটিত ব্যাপার ছিল না। অ্যাকশনএইডের কাজটি করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে একটা সমস্যা হয়, যেজন্য সুমন রহমান তাঁর শ্রমের বিপরীতে কোনো অর্থমূল্যই পান নি বরং আজিজ মার্কেটে জনসমক্ষে অঞ্জন ভাইয়ের দ্বারা অপদস্থ হন। শুনেছি ওই প্রকল্পের প্রস্তাবনাটি নাকি সুমন রহমানই লিখেছিলেন।
কিন্তু এসব কথা এভাবে ফলাও করে প্রচারের কী দরকার? মেইলটাই বা কার থেকে পেলেন সুমন কেহেরমান?
Alif Dewan
Alif Dewan at 4:21pm April 26
আমার পিয় বাথিজা ফেসিবাদ সুমন রহমান উর্পে দীন মহাম্মদের গাই হাথ তুলিচে কুন সে ভদমাইশ অনঝম? বাথিজারা তুরা এই অমঝমের টিখানা কাগুকে দে, কাগু যাই তারে ফিডি সুজা করিভেক!!!
Dobar Bang
Dobar Bang at 6:29pm April 26
ফেছিবাদি সুমন রহমান, আর কত স্বমেহন করবি?
কেহেরমানের দুটি পত্র- সুভ্রত ও ভৃত্য খাইসুকে লেখা। ইহা প্রচীন মিশরীয় গুপ্ত ভাষায় রচিত।
১. বৎস-সুভ্রত অগাস্টিন গুমেজ/
তোমার পত্র পড়ে আমি বিষণ্ন ও চঞ্চল হয়ে পড়েছি। তুমি যে সুললিত ভাষায় তোমার মনোবেদনা তারিক টুকু নামে শূন্য দশকের এক নব্য যুবা কবির উদ্দেশ্যে লিখেছ- লেখা হিসাবে উহা খারাপ নহে- কিন্তু লেখার ছত্রে ছত্রে যে লবণমিশ্রিত ক্রন্দন শোনা গেল তাতে পরিস্থানে একটি আরবী ঘোটকীর অকাল প্রসব হয়েছে। কোন অশ্বশাবক নয়- একটি কালো রঙের অশ্বডিম্ব প্রসবিত হয়েছে। তা দেখে সিন্দবাদ নামে এক বুড়ো হাবড়া নাবিক বিচলিত হয়ে কান্ট সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কান্ট সাহেব তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভ্রাতঃ, ঈশ্বরের কিছুদিন ছুটি নেওয়া দরকার। এবং তার জায়গায় একটি অর্ধ নারীশ্বর কাজ করতে ইচ্ছুক। ঈশ্বর বলেছেন, আমি একটু বিজি আছি। আমার বদলে আমার ইবলিশকে ছুটিতে পাঠাচ্ছি। সেখানে ওই ব্যাটা কাজ করতে পারে। ডোন্ট ওরি, তুমি শেহেরজাদের কাছে যাও। শেহেরজাদ ঘাম মিশ্রিত কলেবরে যখন ফেসবুকের ফ্যানক্লাবের ফ্যানের নিচে হাওয়া খেতে থাকবে, তখন তুমি শেহেরজাদের মুখে মৃগ-কস্তুরি শোভিত তাম্বুল খেতে দিও তাহলে সে তোমাকে একটি সান্ধ্য ভাষায় (মহাত্মা সলিম উল্লাহ খানের মতে- ডিসকোর্স) গজল শোনাবে। তা শুনে তোমার যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে তার কোমল আঘাতে অশ্ব ডিম্বটির খোলস ভেঙে যাবে এবং উহার ভেতর হতে যিনি বের হবেন তিনিই সেই অর্ধনারীশ্বর। অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। দেখে ভড়কে যেও না। এটা বাইসেক্সুয়াল। চুল দেখে অনুমান করে নেবে। কোন কোন গবেষক একে হিজড়া নামেও অভিহিত করে থাকে। এই অধর্নারীশ্বর তোমাকে যে পত্র লিখবে- তাতে তোমার চোখের পানিতে লবণের বদলে অর্জিনাল কেরু কোম্পানীর সুগার এসে পড়বে। উহা সুইট। এবং নব প্রেরণাদায়ী। তোমার এই নবলব্ধ চোখের পানি লুভর মিউজিয়ামে রাখার প্রস্তাব চলছে। উহার জন্য যে বোতল প্রয়োজন তা তৈরির জন্য মজার (উচ্চারণ- মজ-হার) এনজিও উভিনিঘকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
বৎস সুভ্রত, তুমি লিখেছে- তোমরা আশির দশকে লেখালেখি শুরু করেছিলে আগের দশকের কবিদের চেয়ে অন্যরকম ভাবে। কিন্তু আশির দশকের আগের কবিরদের তোমরা অসম্ম্মান করোনি। আশি দশকের আগের অধিকাংশ কবিরা পেয়ারা পাকিস্তান ভাঙ্গার ষঢ়যন্ত্রে ছিল। তাদেরকে তো তোমার মজার (মজ-হার) মজহাবের কবিদের অসম্মান করাই উচিৎ। অসম্মান করোনি কেন? তুমি ভুল করেছে বৎস। এই কথাটি তোমার উইথ-ড্র করা দরকার। তুমি কি দেখ নাই, সাজ্জাদ শরীফ নামীয় এক ঘোৎঘোৎকারী কহিছেন, আশিপূর্ববর্তী কবিরা ষঢ়যন্ত্রময়। এজন্য তারা বাতিল। তুমি কি এই বাণীটি ভুলে গেছ পাবলিকের প্যাদানীর ভয়ে? ভয়ে উল্টা গীত গাচ্ছ এখন? কেহেরমানের বৎসরা ভয় পাবে কেন? তুমি আমার প্রেস্টিজ পাংচার করে দিয়েছ।
তুমি নাসারা প্রজাতির হলেও তোমার লেখায় পৌত্তিলিক গালগল্প এসেছে। আমরা অপেক্ষা করেছি এইসব লিখে লিখে তুমি আগে হয়ে উঠো। পাবলিক তোমাকে চিনুক। তারপর তোমাকে আমরা পিকআপ করব। তোমার হাতে কলমের বদলে আমাদের চোঙ্গা তুলে দেব। তোমার মাথায় কিছু অশ্ববর (গোবর>অশ্ববর) ঢুকিয়ে দেব। তারপর সব কিছু যাদুদণ্ডের ইশারায় চলতে থাকবে। সে তুমি ভাল মত চলেছ। তুমি আমাদের হয়ে অনেক জায়গায় ফাল পাড়ছ। তোমার সার্ভিসে আমরা তৃপ্ত।
তুমি সুদুর অস্ট্রলিয়ায় বসেও এই সার্ভিস অব্যাহত রেখেছ কেন, তা আমরা জানি। তোমার দুশ্চিন্তা নাই। তুমি সম্প্রতি কবিতা লেখা ভুলে গেছ- কবিতার নামে হাবিজাবি যা লিখছ, সে সকল ছাইপাশ মদীয় প্রভাবিত সাহিত্য পত্রিকায়/ মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এবং বৎস অপেক্ষা কর, সাজ্জাদ শরফিকে আমরা বলে দেব- পাঁচ হাজার বছর পরে হলেও তোমাকে দৈনিক প্রথম কালো বর্ষ সেরা কবির ম্যাডেল দেওয়া হবে। ইহা ১০০% খাটিঁ কথা বলে বিশ্বাস করো। সন্দেহ করিবে না।
আশরাফ শিশির নামে যে শূন্য দশকের কবিটি তোমার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বুঝতে পারছি ইহা তোমার হৃদয় কন্দরে সে বড়ই আঘাত করেছে। এতো শিশিরের মতো নরম নয়। পাথরের টুকরা। তুমি এরকম আশা করনি। ভেবেছিলে সবাই, তোমাকে কুর্নিশ করবে। তার বদলে তোমাকে পশ্চাৎদেশ দেখাচ্ছে! বৎস সুভ্রত, দিনকাল খারাপ। এখন ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়ার কাল এসে পড়েছে, যদি সে ঘোড়াটি আবার তোমার মত মৃত ঘোড়া হয়। কী করা যাবে বল। ইহাদের পাখনা গজিয়েছে। উহারা মুক্ত আকাশে উড়িতে শিখেছে। তোমাদের গলায় আমরা গোছড়( গরুর দড়ি) পরাতে পেরেছি। আর ভুট্টার ত্যাল মর্দন করার সুযোগ পেয়েছি তোমাদের পৃষ্ঠদেশে। বলেছি, চালিয়ে যাও আমার দুলকি ঘোড়া, তুমিই হলে সেরা, সেরাদের সেরা। এইসব শুনে তোমাদের পাখনা গজাবার কোনো চান্স ছিল না। তোমাদের মগজে আমাদের অশ্ববর, চোখে যাদুর চশমা দিয়েছি। যা দেখতে বলতাম, তাই তোমরা দেখতে। যা বুঝতে বলতাম, তাই বুঝতে। যা বলতে বলতাম, তাই বলতে। যা লিখতে বলতাম, তাই বিনা প্রশ্নে লিখতে। তোমরা ছিলে- প্রশ্ন নাই, উত্তরে পাহাড়। এখনো তোমরা এই পথেই (মজার মজহাবে) আছ। তোমরা পথচ্যুত হও নাই। এ কারণে আমরা টিকে আছি। কিছু করে খাচ্ছি। মুশকিল হল এইসব উঠতি পোলাপাইন শূন্য শূণ্য করে আমাদের সকল শূণ্য করে দিচ্ছে। আমাদের কালা যাদুমন্ত্র ওদের কাছে ফেইল। এখন ভুট্টার ত্যালে কোনো কাজ হচ্ছে না। উহার যথা ইচ্ছা তথা যায়। উহাদের গলায় বাধবার মতো কোনো গোছড় আমাদের নাই। আর আজকাল দেশে এত বেশি গাজর ফলছে যে, ওদের চোখের জ্যোতি অনেকের চেয়ে খরসান। চশমার দরকার হয় না। যা সত্যি- খালি চোখে সেই সত্যি জিনিসটাকে দেখে। সত্যি কথাটাই সত্যি করে বলে। মিথ্যে করে বলতে ওরা পারে না। কি করব বল! এখন যা দিনকাল পড়েছে- যে ভয় পেতে চায়, সেই কেবল ভয় পায়। আর যে ভয় পেতে চায় না ,তার জন্য আমার কিছু করার নাই। দিন বদলালে এরকমই হয়। আমাদের আছর আর তরুণদের উপর কাজ করছে না।
মজনু শাহকে তুমি একদিন বানান শিখিয়েছ। সে তোমাকে ল্যাং মেরে এমন সব কবিতা লিখতে শুরু করেছে যা তোমরা তোমাদের বাপের জন্মেও লিখতে পারনি। আর এই সোহেল হাসান গালিব আর তারিক টুকু যা সব লিখছে, মনে হচ্ছে তোমার দিন শ্যাষ। তোমার রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার সময় আইসা পড়ছে। তোমার প্রস্থান করা দরকার। পেছনের দরোজা খোলা আছে কিনা এইটা খুব খেয়াল কইরা দেইখো। আর সাথে একসেট হাফপ্যান্ট অতিরিক্ত রাখতে ভুল করবা না। এইটাই তোমার এবং তোমার মত ভৃত্যদের এখনকার একমাত্র দাওয়াই। ডোন্ট ওরি। ক্রন্দন করিও না। ক্রন্দন করিয়া কি হইবে? পুথিবীতে কে কাহার! দেখো নাই, তোমার কারণে কতো নেল্লি বেল্লি কতো চেল্লাছেল্লি করছে। তুমি না হয় আজ একটু চেল্লাচেল্লি করলে। নতুন অভিজ্ঞতা আর কি। আর দাওয়াইটা মনে রেখো। খুব খেয়াল কইরা। আর সেই সুসমাচারবাহী অর্ধনারীশ্বর তোমাকে কি পত্র দিয়েছে। পত্রটি দিনে তিনবার পাঠ করিবে।
ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)
২. বৎস- ভৃত্য খাইসু/
কেমন আছো পেয়ারা ভৃত্য। তোমার কথা মনে পড়িলে দিলে পানি পাই। আবার দিলে চোটও পাই। তোমার দশা পাবলিক যে হারে ছেরাবেরা করে দিচ্ছে তাহা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। কী হইতেছে বুঝিতে পারিতেছি না। তবু 'তুমি' বলিয়া আছ- এবং আছে। এবং থাকিতে চেষ্টা করিতেছ। ইহা নবম আশ্চর্য।
তুমি হলে গিয়ে উত্তরাধুনিক সন্ত। সন্ত মানে সাধু। তোমাকে এইজন্য সাধু ভাষায় লিখিতেছি। যদিও তুমি নিজে অসাধু ভাষায় লিখিয়া সিদ্ধি খাও। তোমাকে কিন্তু সাধু খাষায় লিখিয়া বড়ই উত্তেজনা পাইতেছি। উত্তেজনা না থাকিলে ঘরে-বাইরে যে বিপদ। এইটা তোমার চেয়ে আর কে ভাল জানে!!
তুমি যে সার্ভিস দিতেছ, তা ইতিহাসে বিরল। তুমি তো জানো, এতকাল (কোন কাল?) যে ইতিহাস লেখা হইয়াছে মার্কসো সাহেব কহিয়াছেন , তাহা ভুয়া। অর্জিনাল ইতিহাস লেখা শুরু হইয়াছে। ইহার প্রথম পাঠ হইল- সেবাদাসনামা। এই সেবাদাসনামায় তোমার স্থান হইবে তিন নম্বরে। ইহা সত্যি বলিয়া বশ্বাস করিও। কোনো সন্দেহ করিও না। কখনো আমাদের অবিশ্বাস করো নাই। কদাচিৎ করিবে না। বলো, মারহাবা।
তোমার যখন জন্ম হইয়াছিল, সেদিন তুমি জন্মিয়াই কু কু ধ্বনি উচ্চারণ করিয়াছিলে। ইহার সাক্ষ্য হায়ারোগ্লিপে উল্লেখ আছে। সেদিন রাত্রিকালে নীল মেঘমুক্ত আকাশ হইতে তিনটি বজ্রপাত হইয়াছিল। ইহাতে তিনটি তালগাছের মাথা পুড়িয়া যায়। আর এই তাল গাছের গ্যাজানো রস হইতে যে তাড়ি উৎপন্ন হয়, তাহা হইতে পরিস্থানে তিনটি বায়সপাখির (কাউয়া) উদ্ভব হয়। ইহাকে পরে দোররা কাউয়া হিসাবে সনাক্ত করে অতি আহ্লাদিত হন প্রাচীন মিশরীয় নগরী আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর একজন অতি উত্তেজক রমণী খ্লিওপেত্রা। সেই দোররা কাউয়ার একজন হইলেন- ব্রুটাস, দ্বিতীয়জন- মীর জাফর আলী খান এবং তৃতীয় জন হলেন গোযেবলস। (এ্যাজটেক সভ্যতার ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয়- আরেকজন আখেরী দোররা কাউয়া আসিবেক।) এই গোয়েবলস শব্দটি হইতেই তোমার অতি পেয়ারা কাব্যভাবনা- 'গোয়ামারা' এসেছে। অন্য কেউ ঠাট্টা করলেও তুমি কিন্তু হতাশ হইও না। ইহা ১০০% খাটি সরেস মাল। তোমার খালেস দোস্ত সুভ্রত ইহাকে বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমিত ভাষা হিসাবে আবিষ্কার করিয়াছে এবং মনে করিতেছে এই আবিষ্কারের জন্য সে রসায়ন শাস্ত্রে একটি নোভেল প্রাইজ পাইলেও পাইতে পারে। সে শব্দটি যাদুঘরে সংরক্ষণ করিবার জন্য বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্পে একটি প্রস্তাব দাখিল করিয়াছিল। কিন্তু উহা বর্তমানে ফ্রিজ হইয়া আছে। আমরা চেষ্টা করিব যাদুবলে এই ফ্রিজটি ভাংগিয়া ফেলিতে। বাংলাদেশে কারেন্টের যে অবস্থা তাতে ফ্রিজের দরকার কী। ফ্রিজের টাকা দিয়া আজিজের চিপায় বসিয়া আমার লগে গাঞ্জা ফোঁকা বেশি ভাল। বল বৎস, মারহাবা।
তুমি ঠিকই ধরিয়াছ, সুভ্রত এই শুণ্য দশকের কবিদের পেছনে যে শ্রম দিয়াছে উহা ধোলাইখালের পানিতে গিয়াছে। কোনো কাজে আসে নাই। উহারা সুভ্রতর আছর মানে নাই। সুভ্রতর মাথার ইস্ক্রু একটু ঢিলা আছে। (আমি চেষ্টা করিয়াছিলাম টাইট দিতে। আমার যাদু দণ্ড কাজ করিতেছে না আগের মতো। তাছাড়া পাবলিকে যেই হারে আমার বেলুন ফুটা করিয়া দিতেছে- তাহাতে আমার নিজের অবস্থাই চিটাগুড়।) সুভ্রতর আগের ধার নাই। শুণ্য দশকের মেধাবী খরসান দৃষ্টির কবিরা ধারহীন লোকের কথাকে পাত্তা দিবে কেন? এইটা বোঝার হিকমত গাধারও আছে। সুভ্রতর নাই।
দুঃখ করিও না ভৃত্য খাইসু। তুমি তো জানো- তোমার মেরুদন্ডের তেত্রিশখানা হাড় নাই। আমার কয়েকটা বদলাইয়া দিছি। তুমি আমাদের বলির পাঠা। তুমি আমাদের হয়ে অবিরাম ব্যা ব্যা করিতেই আছ- আর পাবলিকে তোমার কান মলিতেই আছে। তুমি ইহাতে মাইন্ড খাইতেছ না। তুমি চিরকাল এইরকম করিতেই থাকেবে। এই এ্যাকশনে একশোতে দুইশোভাগ তুমি সফল।
আমরা ঠিক করিযাছি এই সাকসেসের জন্য আমার তোমার একটি মর্মর এবং জর্জর মুর্তি তৈরি করা হইবে। ইহা তৈরি করিবেন মৃণাল হক। শিব গড়িতে বান্দর গড়িবার বিশেষ পারদর্শিতা তাহার আছে। মুর্তিটির পশ্চাৎদেশে কোনো কাপড় থাকিবে না। কি করিয়া থাকে? তোমার সার্ভিসে পাবলিক জে হারে তোমার কাপড় নষ্ট করিতেছে, তাহাতে ঐ কাপড়ের কৌমার্য নিয়া কোনো কোনো আফগানিস্তানের মৌ-লোভী কতিপয় প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছে। করুক গিয়া। কাপড় কি দরকার? তুমি হইলে নাঙ্গা হাবসী খোজা ভৃত্য। তোমার কৌমার্যের প্রশ্ন তো অবান্তর। তোমার এই মুতিৃটি চাঙ্খার পুলের সামনে স্থাপন করা হইবে। মুতির্টির নিম্নাঙ্গে লেখা হইবে-
ইনি হইলেন মহাকবি ভৃত্য খাইসু। ইনি জন্মের আগে হইতেই গোয়াবা (Gouva-গয়া, পেয়ারা) ট্রি পছন্দ করিতেন। সেই গোয়াবা ট্রির পাতার ভিতরে দেররা কাউয়া খুজিতেঁন। দোররা কাউয়ারা বিশেষ কর্মকালে যে কু কু শব্দ করিত - সেই কু কু শব্দটি ছিল তাহার আত্মার ভাবের সংগীত। ইহার কারণে তিনি জগতে দোররা কাউয়া হিসাবে ক্কুখ্যাতি পাইয়াছিলেন।
ইনি যাহা লিখিতেন তাহা ছিল অপলেখা। কিন্তা তাহার একজন খালেস দোস্ত ছিলৈন , তাহার নাম সুভ্রত- তিনি এই অপলেখাকে বলিতেন সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। আর এই সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা দোররা কাউয়ার লিখক ভৃত্য খাইসুই হইলেন মহাকপি। আর ইহার বিনিময়ে মহাকপি সুভ্রতকে বলিতেন সেরা জ্ঞানী কপি। এই দোস্তপ্রীতি জগতে একপি ঐতিহাসিক ঘটনা- যাহা ভণ্ডমীর নবতর অধ্যায় হিসাবে সেবাদাসনামা ইতিহাস গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হইতেছে। প্রচীন খাবনামায় ইহার সাক্ষ্য মিলিবে। এবং নষ্ট্দামুস অতি গুহ্যতন্ত্রে লিখিয়াছেন যে, এই দোররা কাউয়ারি সমকক্ষ কবিতা লিখিতে সক্ষম হইবেন একমাত্র দোররা কাউয়াই। টুকু বা গালিবের কোনো কবিতাই দোররা কাউয়ার কাছে ঘেষিতে পারিবে না। কেননা এই কবিদ্বয়ের মস্তিস্কে কোনো পয়ঃমাল নাই। একদম ফেরেস। তাই উহারা ভৃত্য হইবার যোগ্যতা হারাইবে। এই সাক্ষ্য আরব্য রজনীর এক রাত্রিতে শেহেরজাদ ঘুমন্ত বাদশাহের সামনে প্রকাশ করিবেন।
কিন্তু ভৃত্য খাইসু, আমি তোমার পত্রটি পড়িয়া একটি বিশেষ কারণে যার পর নাই চিন্তিত। তুমি কেন ইদানিং ঘাস পছন্দ করিতেছ? তাও আবার যে সে ঘাস নহে। শূন্য দশকের কবিদের কবরের উপর যে ঘাস জন্মাইবে- তাহাই তোমার পছন্দ! বিষয়টা কি? ঘাসতো গবাদি পশুর খাদ্য। তোমার কি শারীরিক কোনো পরিবর্তন ঘটিয়াছে? তোমার কি আরও দুইখানা ঠ্যাং গজাইয়াছে? নতুন করিয়া ল্যাজ গজাইয়াছে? বুঝিতে পারিতেছি না। আমি ভয়ানক চিন্তিত। একজন ভেটেরিনারী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার। খুব খেয়াল কইরা।
মন দিয়া শোনো-
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....
হুম।
ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)
তোমার পত্র পড়ে আমি বিষণ্ন ও চঞ্চল হয়ে পড়েছি। তুমি যে সুললিত ভাষায় তোমার মনোবেদনা তারিক টুকু নামে শূন্য দশকের এক নব্য যুবা কবির উদ্দেশ্যে লিখেছ- লেখা হিসাবে উহা খারাপ নহে- কিন্তু লেখার ছত্রে ছত্রে যে লবণমিশ্রিত ক্রন্দন শোনা গেল তাতে পরিস্থানে একটি আরবী ঘোটকীর অকাল প্রসব হয়েছে। কোন অশ্বশাবক নয়- একটি কালো রঙের অশ্বডিম্ব প্রসবিত হয়েছে। তা দেখে সিন্দবাদ নামে এক বুড়ো হাবড়া নাবিক বিচলিত হয়ে কান্ট সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কান্ট সাহেব তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভ্রাতঃ, ঈশ্বরের কিছুদিন ছুটি নেওয়া দরকার। এবং তার জায়গায় একটি অর্ধ নারীশ্বর কাজ করতে ইচ্ছুক। ঈশ্বর বলেছেন, আমি একটু বিজি আছি। আমার বদলে আমার ইবলিশকে ছুটিতে পাঠাচ্ছি। সেখানে ওই ব্যাটা কাজ করতে পারে। ডোন্ট ওরি, তুমি শেহেরজাদের কাছে যাও। শেহেরজাদ ঘাম মিশ্রিত কলেবরে যখন ফেসবুকের ফ্যানক্লাবের ফ্যানের নিচে হাওয়া খেতে থাকবে, তখন তুমি শেহেরজাদের মুখে মৃগ-কস্তুরি শোভিত তাম্বুল খেতে দিও তাহলে সে তোমাকে একটি সান্ধ্য ভাষায় (মহাত্মা সলিম উল্লাহ খানের মতে- ডিসকোর্স) গজল শোনাবে। তা শুনে তোমার যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে তার কোমল আঘাতে অশ্ব ডিম্বটির খোলস ভেঙে যাবে এবং উহার ভেতর হতে যিনি বের হবেন তিনিই সেই অর্ধনারীশ্বর। অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। দেখে ভড়কে যেও না। এটা বাইসেক্সুয়াল। চুল দেখে অনুমান করে নেবে। কোন কোন গবেষক একে হিজড়া নামেও অভিহিত করে থাকে। এই অধর্নারীশ্বর তোমাকে যে পত্র লিখবে- তাতে তোমার চোখের পানিতে লবণের বদলে অর্জিনাল কেরু কোম্পানীর সুগার এসে পড়বে। উহা সুইট। এবং নব প্রেরণাদায়ী। তোমার এই নবলব্ধ চোখের পানি লুভর মিউজিয়ামে রাখার প্রস্তাব চলছে। উহার জন্য যে বোতল প্রয়োজন তা তৈরির জন্য মজার (উচ্চারণ- মজ-হার) এনজিও উভিনিঘকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
বৎস সুভ্রত, তুমি লিখেছে- তোমরা আশির দশকে লেখালেখি শুরু করেছিলে আগের দশকের কবিদের চেয়ে অন্যরকম ভাবে। কিন্তু আশির দশকের আগের কবিরদের তোমরা অসম্ম্মান করোনি। আশি দশকের আগের অধিকাংশ কবিরা পেয়ারা পাকিস্তান ভাঙ্গার ষঢ়যন্ত্রে ছিল। তাদেরকে তো তোমার মজার (মজ-হার) মজহাবের কবিদের অসম্মান করাই উচিৎ। অসম্মান করোনি কেন? তুমি ভুল করেছে বৎস। এই কথাটি তোমার উইথ-ড্র করা দরকার। তুমি কি দেখ নাই, সাজ্জাদ শরীফ নামীয় এক ঘোৎঘোৎকারী কহিছেন, আশিপূর্ববর্তী কবিরা ষঢ়যন্ত্রময়। এজন্য তারা বাতিল। তুমি কি এই বাণীটি ভুলে গেছ পাবলিকের প্যাদানীর ভয়ে? ভয়ে উল্টা গীত গাচ্ছ এখন? কেহেরমানের বৎসরা ভয় পাবে কেন? তুমি আমার প্রেস্টিজ পাংচার করে দিয়েছ।
তুমি নাসারা প্রজাতির হলেও তোমার লেখায় পৌত্তিলিক গালগল্প এসেছে। আমরা অপেক্ষা করেছি এইসব লিখে লিখে তুমি আগে হয়ে উঠো। পাবলিক তোমাকে চিনুক। তারপর তোমাকে আমরা পিকআপ করব। তোমার হাতে কলমের বদলে আমাদের চোঙ্গা তুলে দেব। তোমার মাথায় কিছু অশ্ববর (গোবর>অশ্ববর) ঢুকিয়ে দেব। তারপর সব কিছু যাদুদণ্ডের ইশারায় চলতে থাকবে। সে তুমি ভাল মত চলেছ। তুমি আমাদের হয়ে অনেক জায়গায় ফাল পাড়ছ। তোমার সার্ভিসে আমরা তৃপ্ত।
তুমি সুদুর অস্ট্রলিয়ায় বসেও এই সার্ভিস অব্যাহত রেখেছ কেন, তা আমরা জানি। তোমার দুশ্চিন্তা নাই। তুমি সম্প্রতি কবিতা লেখা ভুলে গেছ- কবিতার নামে হাবিজাবি যা লিখছ, সে সকল ছাইপাশ মদীয় প্রভাবিত সাহিত্য পত্রিকায়/ মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এবং বৎস অপেক্ষা কর, সাজ্জাদ শরফিকে আমরা বলে দেব- পাঁচ হাজার বছর পরে হলেও তোমাকে দৈনিক প্রথম কালো বর্ষ সেরা কবির ম্যাডেল দেওয়া হবে। ইহা ১০০% খাটিঁ কথা বলে বিশ্বাস করো। সন্দেহ করিবে না।
আশরাফ শিশির নামে যে শূন্য দশকের কবিটি তোমার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বুঝতে পারছি ইহা তোমার হৃদয় কন্দরে সে বড়ই আঘাত করেছে। এতো শিশিরের মতো নরম নয়। পাথরের টুকরা। তুমি এরকম আশা করনি। ভেবেছিলে সবাই, তোমাকে কুর্নিশ করবে। তার বদলে তোমাকে পশ্চাৎদেশ দেখাচ্ছে! বৎস সুভ্রত, দিনকাল খারাপ। এখন ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়ার কাল এসে পড়েছে, যদি সে ঘোড়াটি আবার তোমার মত মৃত ঘোড়া হয়। কী করা যাবে বল। ইহাদের পাখনা গজিয়েছে। উহারা মুক্ত আকাশে উড়িতে শিখেছে। তোমাদের গলায় আমরা গোছড়( গরুর দড়ি) পরাতে পেরেছি। আর ভুট্টার ত্যাল মর্দন করার সুযোগ পেয়েছি তোমাদের পৃষ্ঠদেশে। বলেছি, চালিয়ে যাও আমার দুলকি ঘোড়া, তুমিই হলে সেরা, সেরাদের সেরা। এইসব শুনে তোমাদের পাখনা গজাবার কোনো চান্স ছিল না। তোমাদের মগজে আমাদের অশ্ববর, চোখে যাদুর চশমা দিয়েছি। যা দেখতে বলতাম, তাই তোমরা দেখতে। যা বুঝতে বলতাম, তাই বুঝতে। যা বলতে বলতাম, তাই বলতে। যা লিখতে বলতাম, তাই বিনা প্রশ্নে লিখতে। তোমরা ছিলে- প্রশ্ন নাই, উত্তরে পাহাড়। এখনো তোমরা এই পথেই (মজার মজহাবে) আছ। তোমরা পথচ্যুত হও নাই। এ কারণে আমরা টিকে আছি। কিছু করে খাচ্ছি। মুশকিল হল এইসব উঠতি পোলাপাইন শূন্য শূণ্য করে আমাদের সকল শূণ্য করে দিচ্ছে। আমাদের কালা যাদুমন্ত্র ওদের কাছে ফেইল। এখন ভুট্টার ত্যালে কোনো কাজ হচ্ছে না। উহার যথা ইচ্ছা তথা যায়। উহাদের গলায় বাধবার মতো কোনো গোছড় আমাদের নাই। আর আজকাল দেশে এত বেশি গাজর ফলছে যে, ওদের চোখের জ্যোতি অনেকের চেয়ে খরসান। চশমার দরকার হয় না। যা সত্যি- খালি চোখে সেই সত্যি জিনিসটাকে দেখে। সত্যি কথাটাই সত্যি করে বলে। মিথ্যে করে বলতে ওরা পারে না। কি করব বল! এখন যা দিনকাল পড়েছে- যে ভয় পেতে চায়, সেই কেবল ভয় পায়। আর যে ভয় পেতে চায় না ,তার জন্য আমার কিছু করার নাই। দিন বদলালে এরকমই হয়। আমাদের আছর আর তরুণদের উপর কাজ করছে না।
মজনু শাহকে তুমি একদিন বানান শিখিয়েছ। সে তোমাকে ল্যাং মেরে এমন সব কবিতা লিখতে শুরু করেছে যা তোমরা তোমাদের বাপের জন্মেও লিখতে পারনি। আর এই সোহেল হাসান গালিব আর তারিক টুকু যা সব লিখছে, মনে হচ্ছে তোমার দিন শ্যাষ। তোমার রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার সময় আইসা পড়ছে। তোমার প্রস্থান করা দরকার। পেছনের দরোজা খোলা আছে কিনা এইটা খুব খেয়াল কইরা দেইখো। আর সাথে একসেট হাফপ্যান্ট অতিরিক্ত রাখতে ভুল করবা না। এইটাই তোমার এবং তোমার মত ভৃত্যদের এখনকার একমাত্র দাওয়াই। ডোন্ট ওরি। ক্রন্দন করিও না। ক্রন্দন করিয়া কি হইবে? পুথিবীতে কে কাহার! দেখো নাই, তোমার কারণে কতো নেল্লি বেল্লি কতো চেল্লাছেল্লি করছে। তুমি না হয় আজ একটু চেল্লাচেল্লি করলে। নতুন অভিজ্ঞতা আর কি। আর দাওয়াইটা মনে রেখো। খুব খেয়াল কইরা। আর সেই সুসমাচারবাহী অর্ধনারীশ্বর তোমাকে কি পত্র দিয়েছে। পত্রটি দিনে তিনবার পাঠ করিবে।
ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)
২. বৎস- ভৃত্য খাইসু/
কেমন আছো পেয়ারা ভৃত্য। তোমার কথা মনে পড়িলে দিলে পানি পাই। আবার দিলে চোটও পাই। তোমার দশা পাবলিক যে হারে ছেরাবেরা করে দিচ্ছে তাহা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। কী হইতেছে বুঝিতে পারিতেছি না। তবু 'তুমি' বলিয়া আছ- এবং আছে। এবং থাকিতে চেষ্টা করিতেছ। ইহা নবম আশ্চর্য।
তুমি হলে গিয়ে উত্তরাধুনিক সন্ত। সন্ত মানে সাধু। তোমাকে এইজন্য সাধু ভাষায় লিখিতেছি। যদিও তুমি নিজে অসাধু ভাষায় লিখিয়া সিদ্ধি খাও। তোমাকে কিন্তু সাধু খাষায় লিখিয়া বড়ই উত্তেজনা পাইতেছি। উত্তেজনা না থাকিলে ঘরে-বাইরে যে বিপদ। এইটা তোমার চেয়ে আর কে ভাল জানে!!
তুমি যে সার্ভিস দিতেছ, তা ইতিহাসে বিরল। তুমি তো জানো, এতকাল (কোন কাল?) যে ইতিহাস লেখা হইয়াছে মার্কসো সাহেব কহিয়াছেন , তাহা ভুয়া। অর্জিনাল ইতিহাস লেখা শুরু হইয়াছে। ইহার প্রথম পাঠ হইল- সেবাদাসনামা। এই সেবাদাসনামায় তোমার স্থান হইবে তিন নম্বরে। ইহা সত্যি বলিয়া বশ্বাস করিও। কোনো সন্দেহ করিও না। কখনো আমাদের অবিশ্বাস করো নাই। কদাচিৎ করিবে না। বলো, মারহাবা।
তোমার যখন জন্ম হইয়াছিল, সেদিন তুমি জন্মিয়াই কু কু ধ্বনি উচ্চারণ করিয়াছিলে। ইহার সাক্ষ্য হায়ারোগ্লিপে উল্লেখ আছে। সেদিন রাত্রিকালে নীল মেঘমুক্ত আকাশ হইতে তিনটি বজ্রপাত হইয়াছিল। ইহাতে তিনটি তালগাছের মাথা পুড়িয়া যায়। আর এই তাল গাছের গ্যাজানো রস হইতে যে তাড়ি উৎপন্ন হয়, তাহা হইতে পরিস্থানে তিনটি বায়সপাখির (কাউয়া) উদ্ভব হয়। ইহাকে পরে দোররা কাউয়া হিসাবে সনাক্ত করে অতি আহ্লাদিত হন প্রাচীন মিশরীয় নগরী আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর একজন অতি উত্তেজক রমণী খ্লিওপেত্রা। সেই দোররা কাউয়ার একজন হইলেন- ব্রুটাস, দ্বিতীয়জন- মীর জাফর আলী খান এবং তৃতীয় জন হলেন গোযেবলস। (এ্যাজটেক সভ্যতার ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয়- আরেকজন আখেরী দোররা কাউয়া আসিবেক।) এই গোয়েবলস শব্দটি হইতেই তোমার অতি পেয়ারা কাব্যভাবনা- 'গোয়ামারা' এসেছে। অন্য কেউ ঠাট্টা করলেও তুমি কিন্তু হতাশ হইও না। ইহা ১০০% খাটি সরেস মাল। তোমার খালেস দোস্ত সুভ্রত ইহাকে বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমিত ভাষা হিসাবে আবিষ্কার করিয়াছে এবং মনে করিতেছে এই আবিষ্কারের জন্য সে রসায়ন শাস্ত্রে একটি নোভেল প্রাইজ পাইলেও পাইতে পারে। সে শব্দটি যাদুঘরে সংরক্ষণ করিবার জন্য বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্পে একটি প্রস্তাব দাখিল করিয়াছিল। কিন্তু উহা বর্তমানে ফ্রিজ হইয়া আছে। আমরা চেষ্টা করিব যাদুবলে এই ফ্রিজটি ভাংগিয়া ফেলিতে। বাংলাদেশে কারেন্টের যে অবস্থা তাতে ফ্রিজের দরকার কী। ফ্রিজের টাকা দিয়া আজিজের চিপায় বসিয়া আমার লগে গাঞ্জা ফোঁকা বেশি ভাল। বল বৎস, মারহাবা।
তুমি ঠিকই ধরিয়াছ, সুভ্রত এই শুণ্য দশকের কবিদের পেছনে যে শ্রম দিয়াছে উহা ধোলাইখালের পানিতে গিয়াছে। কোনো কাজে আসে নাই। উহারা সুভ্রতর আছর মানে নাই। সুভ্রতর মাথার ইস্ক্রু একটু ঢিলা আছে। (আমি চেষ্টা করিয়াছিলাম টাইট দিতে। আমার যাদু দণ্ড কাজ করিতেছে না আগের মতো। তাছাড়া পাবলিকে যেই হারে আমার বেলুন ফুটা করিয়া দিতেছে- তাহাতে আমার নিজের অবস্থাই চিটাগুড়।) সুভ্রতর আগের ধার নাই। শুণ্য দশকের মেধাবী খরসান দৃষ্টির কবিরা ধারহীন লোকের কথাকে পাত্তা দিবে কেন? এইটা বোঝার হিকমত গাধারও আছে। সুভ্রতর নাই।
দুঃখ করিও না ভৃত্য খাইসু। তুমি তো জানো- তোমার মেরুদন্ডের তেত্রিশখানা হাড় নাই। আমার কয়েকটা বদলাইয়া দিছি। তুমি আমাদের বলির পাঠা। তুমি আমাদের হয়ে অবিরাম ব্যা ব্যা করিতেই আছ- আর পাবলিকে তোমার কান মলিতেই আছে। তুমি ইহাতে মাইন্ড খাইতেছ না। তুমি চিরকাল এইরকম করিতেই থাকেবে। এই এ্যাকশনে একশোতে দুইশোভাগ তুমি সফল।
আমরা ঠিক করিযাছি এই সাকসেসের জন্য আমার তোমার একটি মর্মর এবং জর্জর মুর্তি তৈরি করা হইবে। ইহা তৈরি করিবেন মৃণাল হক। শিব গড়িতে বান্দর গড়িবার বিশেষ পারদর্শিতা তাহার আছে। মুর্তিটির পশ্চাৎদেশে কোনো কাপড় থাকিবে না। কি করিয়া থাকে? তোমার সার্ভিসে পাবলিক জে হারে তোমার কাপড় নষ্ট করিতেছে, তাহাতে ঐ কাপড়ের কৌমার্য নিয়া কোনো কোনো আফগানিস্তানের মৌ-লোভী কতিপয় প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছে। করুক গিয়া। কাপড় কি দরকার? তুমি হইলে নাঙ্গা হাবসী খোজা ভৃত্য। তোমার কৌমার্যের প্রশ্ন তো অবান্তর। তোমার এই মুতিৃটি চাঙ্খার পুলের সামনে স্থাপন করা হইবে। মুতির্টির নিম্নাঙ্গে লেখা হইবে-
ইনি হইলেন মহাকবি ভৃত্য খাইসু। ইনি জন্মের আগে হইতেই গোয়াবা (Gouva-গয়া, পেয়ারা) ট্রি পছন্দ করিতেন। সেই গোয়াবা ট্রির পাতার ভিতরে দেররা কাউয়া খুজিতেঁন। দোররা কাউয়ারা বিশেষ কর্মকালে যে কু কু শব্দ করিত - সেই কু কু শব্দটি ছিল তাহার আত্মার ভাবের সংগীত। ইহার কারণে তিনি জগতে দোররা কাউয়া হিসাবে ক্কুখ্যাতি পাইয়াছিলেন।
ইনি যাহা লিখিতেন তাহা ছিল অপলেখা। কিন্তা তাহার একজন খালেস দোস্ত ছিলৈন , তাহার নাম সুভ্রত- তিনি এই অপলেখাকে বলিতেন সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। আর এই সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা দোররা কাউয়ার লিখক ভৃত্য খাইসুই হইলেন মহাকপি। আর ইহার বিনিময়ে মহাকপি সুভ্রতকে বলিতেন সেরা জ্ঞানী কপি। এই দোস্তপ্রীতি জগতে একপি ঐতিহাসিক ঘটনা- যাহা ভণ্ডমীর নবতর অধ্যায় হিসাবে সেবাদাসনামা ইতিহাস গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হইতেছে। প্রচীন খাবনামায় ইহার সাক্ষ্য মিলিবে। এবং নষ্ট্দামুস অতি গুহ্যতন্ত্রে লিখিয়াছেন যে, এই দোররা কাউয়ারি সমকক্ষ কবিতা লিখিতে সক্ষম হইবেন একমাত্র দোররা কাউয়াই। টুকু বা গালিবের কোনো কবিতাই দোররা কাউয়ার কাছে ঘেষিতে পারিবে না। কেননা এই কবিদ্বয়ের মস্তিস্কে কোনো পয়ঃমাল নাই। একদম ফেরেস। তাই উহারা ভৃত্য হইবার যোগ্যতা হারাইবে। এই সাক্ষ্য আরব্য রজনীর এক রাত্রিতে শেহেরজাদ ঘুমন্ত বাদশাহের সামনে প্রকাশ করিবেন।
কিন্তু ভৃত্য খাইসু, আমি তোমার পত্রটি পড়িয়া একটি বিশেষ কারণে যার পর নাই চিন্তিত। তুমি কেন ইদানিং ঘাস পছন্দ করিতেছ? তাও আবার যে সে ঘাস নহে। শূন্য দশকের কবিদের কবরের উপর যে ঘাস জন্মাইবে- তাহাই তোমার পছন্দ! বিষয়টা কি? ঘাসতো গবাদি পশুর খাদ্য। তোমার কি শারীরিক কোনো পরিবর্তন ঘটিয়াছে? তোমার কি আরও দুইখানা ঠ্যাং গজাইয়াছে? নতুন করিয়া ল্যাজ গজাইয়াছে? বুঝিতে পারিতেছি না। আমি ভয়ানক চিন্তিত। একজন ভেটেরিনারী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার। খুব খেয়াল কইরা।
মন দিয়া শোনো-
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....
হুম।
ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)
Friday, April 24, 2009
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা-দোররা কাউয়া
সুমন কেহেরমান
আমি জারি করছি দোররা কাউয়া পৃথিমীর শেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা। যে ইহা মানবেন না, না মানেন। ইহাতে কেহেরমানের কিছুই যায় আসে না। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ বলেছেন, ইহার তুল্য অন্য কেহ কোনো কবিতা দেখাইতে পারিবে না। ইহা এক নম্বর। এক নম্বর। অবশ্যই এক নম্বর।
এই কবিতাটি আসলে রচিত হয়েছিল পাঁচ হাজার বছর আগে। শেহেরজাদীর জন্মেরও বহু আগে। বাদশাহ নামদার শেহেরজাদীর অতি কামুক গল্প শুনে যখন তার মাল আপনি আপনি বের হয়ে যেত, তখন শেহেরজাদী কাপড় খুলে নাঙ্গা হয়ে এই কবিতাটি বাদশাহের কানে কানে বলত। কারণ শেহেরজাদী নিজেও গল্পের প্রভাবে ভীষণ গরম। ইহা ঠাণ্ডা করার নিমিত্তে এই দোররা কাউয়া কবিতা বললেই বাদশাহ নামদার আবার কামদার হয়ে উঠতেন। এবং পুনরায় তিনি শেহেরজাদীকে ঠান্ডা করতে সক্ষম হতেন। আরব্য রজনীতে ইহা লেখা আছে।
পরীস্থানেও এই কবিতাটি হেরেমখানায় সোনা দিয়া খাটের সামনের দেওয়া বাঁধানো থাকত। আপনার জানেন কিনা, মিশর দেশীয় খ্লিওফেট্রা নাম্মী এক কালো সেক্সী রমণী এই কবিতাটি তার নগ্ন স্তনে আঠা দিয়া লাগিয়ে রাখতেন, যা তার মৃত্যুর পরে তার লাশের সাথে কবরস্থ করা হয়েছিল। এইটাই ছিল খ্লিওফেট্রার অন্তিম ইচ্ছা। ব্রাত্য রাইসু নওগাঁর কিএকটা খেয়ে যাদুর কাপেট পেয়ে গেছিলেন। সেই যাদুর কারপেটে করে ভ্রমণকালে মিশর দেশে গিয়েছিলেন। তখন খ্লিওফেট্রার কবর খুড়িয়া কবিতাখানা বের করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। জাতির এক মহা উপকার হিসাবে কাজ করেছে। আপনাদের আমি আরও জানাই, বর্তমানে যেসব দেশে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ, সেইসব দেশে ভায়াগ্রার বদলে এই কবিতাটি ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করছেন। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ এই সকল সত্য ঘটনা জানেন। জানেন বলেই তিনি জারি করেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা- দোররা কাউয়া। অন্য কোনোটা নহে। পরিস্কার বিষয়টা?
অবিশ্বাসীরা কবিতা পড়া ছেড়ে দিন। কী, আর করবেন। আপনাদের কাব্য রুচি নাই। কিছুদিন চটি পড়ুন। তাহলে রুচি ফিরে পাবেন।
........................................................................................................................
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে/ ব্রাত্য রাইসু
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
...........................................................................................................................
সোহেল হাসান গালিবের নোট-
অস্তিত্বসংকটসংক্ষুব্ধ কবির পাশে দাঁড়াই আসুন
কিছুদিন হলো কবিতাকথা গুগলগ্রুপে কবিতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি ও তারিক টুকু পূর্বসূরিদের কাব্যকৃতির একটা খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছিলাম। কোনো আড়াল না রেখে। স্বভাবতই প্রকাশ পাচ্ছিলো ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। এ আলোচনায় তারপর যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এবং কথার সূত্র ধরে পরিবেশের আনুকূল্য অনুভব করে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।
পাকেচক্রে এইখানে সমালোচিত হয়েছেন : ১. সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, ২. কামরুজ্জামান কামু, ৩. ব্রাত্য রাইসু, ৪. সুমন রহমান ৫. শামসুর রাহমান, ৬. আল মাহমুদ, ৭. মোহাম্মদ রফিক।
সুমন রহমান যেমন ব্যক্তিগতভাবে, আজিজ সুপার মার্কেটে, আমাকে জানিয়েছেন সুব্রতর কবিতা হয় না, বরং তার গল্প ভালো, আমি তেমনটা করি নি। আমি সুব্রতর কবিতাকে কীভাবে দেখি তা কবিতাকথায় সরাসরি লিখে জানিয়েছি। তখন সুমন ভাই আলোচনায় আসেন নি, তিনি এসেছেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ প্রসঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম প্রায়-সামসময়িকদের নিয়ে আমরা ব্যক্তিসম্পর্ক ভুলে গিয়ে মনের কথা বলি।
এ থেকে আক্রান্তদের কারো কারো এ ধারণা তৈরি হলো, আমরা মোড়লিপনা করছি। এবং যেহেতু কালবিচারে আমরা শূন্যদশকে অবস্থান করি, সেহেতু এ বয়ানও হাজির করা হলো, গালিব ও টুকু শূন্যের ইজারা নিয়েছে। নিজেদের পছন্দ অপছন্দ থেকেই আমরা কথা বলেছি এবং বলার পর কেউ যখন জানতে চেয়েছেন, কেন তাকে একথা বলা হলো, তার ব্যাখ্যা হিশেবে যা আমরা ধারণ করি, তাই জানিয়েছি। তারিক টুকু সুব্রতদার দুটি বই নিয়ে কথা বলার পর, আমি কবিতাকথা গ্রুপে সুব্রতদার চিঠি পড়ে এ সংক্রান্ত নিজের ব্যাখ্যা হাজির করেছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ যখন প্রথম পাখি বলে নামের এক ফেসবুকিয়ান-এর কাছে আক্রান্ত হন, তখন সেখানে রাইসুদা যেমন প্রতিবাদ করেছিলেন, টুকুও করেছিলেন। আমি তখন ফেসবুকে পাখি বলে বা গোমেজের বন্ধু নই বলে বিষয়টি জানতাম না। কোনো অগ্রজের সাথেই আমরা এমন কোনো ব্যবহার করি নি যা শ্লীলতাকে অতিক্রম করে কিংবা তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্ত করে। ভাস্কর আবেদিনের কথা আলাদা। বাকযুদ্ধে শিষ্টাচারের মাত্রা নিরূপণে মেধার ঘাটতি থাকতে পারে তার। সেক্ষেত্রে আত্মসংবরণে অনুদারতা সম্ভব আমারও।
ব্রাত্য রাইসুকে যতদিন ধরে দেখি আসছি, তাকে জানি তর্কপ্রিয়, প্রশ্নপ্রবণ ও যু্ক্তিজ্যান্ত মানুষ হিশেবে। স্রোতের বিপরীতে একা দাঁড়াবার ও চিন্তা জাগাবার শক্তি তার আছে। সেটা যত ভ্রমাত্মকই হোক না কেন। প্রিয় রাইসু ভাই, আপনি যে ফেসবুকস্থ "আলজিভের প্রকটন" লেখাটিতে গালিব ও টুকুকে প্রকারান্তরে শূন্যের ইজারাদার বললেন, তার যুক্তি কী? আর সুব্রতদাকে কাঙালভাবে এসব কী বললেন :
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
সুব্রতদা যা বলার তা তো তারিক টুকুকে লেখা চিঠিতে বলেই দিয়েছেন। আর কী শুনতে চান আপনি, রাইসুদা! আপনার কবিতা কেউ কেউ নিতে পারে না, সেটা দোষের নয় বোধহয়। তার জন্যে কন্ট্রিবিউশন নিয়ে কম্পেয়ার করতে হবে? উচিৎ কি তব ভ্রাত, অনুজেরে আপনি টানিয়া লও নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে!
আমি বরং এই ফোরামের বন্ধুদের সামনে কবিতাটা উপস্থাপন করছি, আসুন না আমরা কবিতা ধরে কথা বলি। আশা করছি এ ফোরামের সভ্যগণ নীরব থাকবেন না। কারণ এ কবিতাটিকে রাইসু ভাই কেন মরণকামড় দিয়ে ধরে আছেন তা যেমন বুঝছি না, একই সঙ্গে এ কবিতাটি সত্যি সত্যি কাদের মন ছুঁলো, তাও জানতে পারছি না।
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
মূল নোটটি পড়তে খ্লিখ করুন-
http://www.facebook.com/inbox/readmessage.php?t=1034658156723&f=1&e=0#/note.php?note_id=72220558534&ref=mf
Written 19 hours ago • Comment • LikeUnlike • Report Note
You, Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Tarique Tuku
Tarique Tuku at 3:44pm April 23
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
বহুদিন মনে থাকবে এই আকুতি। :)
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 4:17pm April 23
ব্রাত্য রাইসু আজিজ মাক্কেটে আঃ আঃ করে রে
সুমন রহমান এঞ্জিও-তে ওঃ ওঃ করে রে
কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে...
সাজ্জাদ শরিপ আলু অফিসে ম্যাও ম্যাও করে রে
ব্রাত্য রাইসু সাজ্জাদ শরিপের পা চাটে রে... Read More
সুমন রহমান ব্রাত্য রাইসুর কলম চুশে রে
ওরে সুমন রহমান রে, ওরে সাজ্জাদ শরিপ রে
ওরে ব্রাত্য রাইসু রে, সবাই ফেসবুকে রে
তারা সবাই কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে
কলম চুষেরে, তেল মারে রে, আঙুল দেয় রে...
ওরে ওরে তারা উত্তুরাদিক রে...
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:29pm April 23
লেখা খুব ছোটো দেখতে পাচ্ছি। তাই পড়তেও অসুবিধা হলো। রাইসু এবং তার বন্ধু সুমন রহমানের বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে বলে লিখছি। রাইসুকে চিনি নববই এর মাঝামাঝি থেকে। তখন তার বগলে নানা নতুন নতুন বই শোভা পেত(এখন যেমনটা করেন শামীম রেজা) এবং খুব উদ্ধত থাকতেন উনি। বাংলা কবিতায় তার সমান কীর্তি আর কারও নেই বলে প্রকাশ্যই বলতেন। তার সাথে যারা চলতো তারা তাকে বেশ অসম্... Read Moreমানই করতো ভেতরে ভেতরে। সাহিত্যের গ্রুপ যেটা বুঝায় এদেশে সেটা সবচেয়ে সফলভাবে করেছেন রাইসু, নিজেদের কিছু অনুগত বাহীনি তৈরী করে যেমন সাইমন জাকারিয়া, যেমন অবনি অনার্য বা ইমরুল হাসান। কোনো একজন পাঠকের কাছেও এই তিনজনের বিশেষ কোনো গুরুত্ব আজ পর্যন্ত দেখলাম না।
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:30pm April 23
সুমন রহমান প্রসঙ্গ ভিন্ন। সুমন রহমানের বই ঝিঝিট নিয়ে তার আশা ছিল অনেক। একারণে তিনি বিভিন্ন লাইনঘাট করে সাজ্জাদ শরিফ পর্যন্ত পৌছান, সাজ্জাদ নাকি নিজে বলেছিলেন তিনি বইটির রিভিউ করবেন। এই কথা সুমন এখণো তার বন্ধুদের কাছে বলে বেড়ান। সাজ্জাদ বইটির রিভিউ নিজে না করায় সুমন যোগ দেন সাজ্জাদ বিরোধীদর সাথে।
আজিজ মাকের্টের কোনায় দাড়িয়ে গাজা খাওয়া এদের কাজ। এ... Read Moreখানে আপনি পাবেন, কাজল, রিফাত,কফিল আহমেদ এবং সুমন রহমানদের। সাজ্জাদ বিরোধীদের গ্রুপে যোগ দিলেও সুমন সমান্তরালভাবে সাজ্জাদের সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলেন এখোনো।কথিত আছে, সাজ্জাদ শরিফকে তার বন্দুদের সম্পর্কে বিষিয়ে তোলেন সুমন রহমান। এমনকী ২০০৬ এ সুব্রত এবং মাসুদ খানের বই বাদ দেয়ার পিছনেও বেশ হাত ছিল তার।
আপাতত এই থাক, ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে, ল্যাপটপ এখনি বন্ধ হয়ে যাবে।পরে আরও লেখা যাবে
Tanvir Mahmud
Tanvir Mahmud at 8:19pm April 23
কেউ যখন বলেন আর কোন সাহিত্যকির্তী আছে কিনা তার কোন একটি বিশেষ লেখার কাছাকাছি আসতে পারে, আমার কাছে তখন ওই দাবিকে সঠিকই মনে হয়। এই দাবিতে এক শিশুসুলভ জেদের প্রকাশ আছে। আর আসল কথা হল, ওই কবিতার কাছাকাছি অন্য কবিতা কেনইবা দাঁড়াতে যাবে? ওই কবিতাটি কি কোন স্ট্যান্ডার্ড যার কাছে অন্য কবিতাকে পৌঁছাতে হবে? কেন কাউকে ওনার মাণ-BSTI পাশ করতে হবে? স্বাতন্ত্র্য কি ওনার ভেতর দিয়ে তৈরী হয়? আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বোধ করি আছে আমাদের।
সব কবির স্বাস্হ্য ও সৌন্দর্য কামনা করছি।
তানভীর।
Shaikh Muhammad Allayear
Shaikh Muhammad Allayear at 1:16am April 24
কবিতা লিখি বলে আমি আলোচ্য কবিতার কবি কে একজন কবিতা কর্মী হিসেবে বলতে পারিনা যে এটা একটা কবিতা না। কারন কবিতা একজন কবির নিজস্ব ষ্টাইল বহন করে। বরং কবি কে যুক্তি খন্ডানোর জন্য দাবী জানাতে পারি তাতে তার ষ্টাইল সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল হতে পারি।
আর পাঠক হিসেবে আমি এই কবিতাকে খারিজ করবো। আমার কাছে এটা কোন কবিতাই মনে হয়নাই। এই কবিতায় প্রতিটি লাইনের শেষে ... Read More"এ" ধ্বনিতে কতগুলো বিদঘুটে শব্দ উচ্চারনের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হইছে মাত্র।
কবিতায় অনেক সময় অনেক খিস্তি এসে হাজির হতে পারে, যদি সেটা দাবী রাখে আসার। কিন্তু সেই আসাটাকে আমি তখনি মেনে নেবো যখন তার টিউন টা ভালো লাগবে। আমার কাছে এই খানে "গোয়া মারে রে গোয়া মারে রে" এই ব্যাপার কে খিস্তি ছারা আর কিছু মনে হইলোনা।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:35am April 24
"দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে" কবিতাখান আমার ভাল লাগে নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:45am April 24
এতদিনে কবিতা পড়ে যে অভজ্ঞতা জমা হইছে, ভাল লাগার যে উপাদানগুলা নিজের ভেতর সক্রিয়, উক্ত কবিতার ভেতর সেই ভাল লাগার কোন উপাদানই নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:47am April 24
#যে অভিজ্ঞতা - পড়তে হবে।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 3:01am April 24
"তোমার বা আমার মত বড় কবির পাঠক হইতে পারাই ওনাদের জন্য যথেষ্ট। আর এঁদের লেখাও এক সময় নিশ্চয়ই আমি পইড়া উঠতে পারব"
রাইসু ভাই, আপনে এইখানে বড় কবি মানে কী বয়সে বড় বুঝাইছেন? নাকি কবি হিসেবে বড় বুঝাইছেন?
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 4:30am April 24
কবিতাটা আমার ভালো লাগছে বলতে পারছি না, তবে "ভাল্লাগছে" পর্যন্ত বলা যায়।
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 4:46am April 24
জীবনানন্দ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেদিন ভূমেন্দ্র গুহ তাঁর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে দেয়া বক্তৃতায় বলেন যে, কবিরা এক ধরনের মানসিক রোগে ভোগেন। রোগের নামটা মনে রাখতে পারি নি। এই রোগ নিজেকে অনেক বড়ো কিছু একটা ভাবতে সহায্য করে। কারোর কারোর রোগের মাত্রাটা বেশি থাকে, রাইসুরও একটু বেশি আছে।
আর 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে' লেখাটা একটা ট্র্যাশ মাত্র।
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 5:02am April 24
http://www.somewhereinblog.net/blog/mukhforrblog/10631
Papree Rahman
Papree Rahman at 6:58am April 24
An author’s personal life shouldn’t be discussed.
He/She might be a drunkard or a drug-addict in his/her personal life; that’s none of our concern.
We are supposed to care about his/her writing & not his/her private life.
Why Bratya Raisu showed up too much self-satisfaction about this poem only he can explain better.
He’s been tagged here.... Read More
So, we can wait & see.
Expectantly he’ll make things clearer.
Alif Dewan
Alif Dewan at 9:51am April 24
বাথ্য রায়চু "গুয়ামারা" কভিথাকানা লই এত গর্ভিত কেনু? সে পিতিভিকে একঠি "গুয়ামারা" উপুহাড় দিয়াচে, কিন্থুক পিতিভি তাহাকে দুই দিন বাদে বাদেই বিপুল্ল পড়িমানে গুয়ামারা দিয়া ছলিতেছে। তাহার "গুয়ামারা" হইথে উত্থম গুয়ামারা কুঝিথে গেলে কাহারটা পেলি কাহারটা বাছিভ, বুজিথে নারি।
বাথ্য রায়চুর কবিথা বিশয়খ গুড়াক্রিমি হইয়াচে। তাহাক ওশুদ পধান করা পয়ুজন।
Written 16 minutes ago • Comment • LikeUnlike
You and শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন like this.
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন likes this.
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন at 11:28am April 24
nice work কেহেরমান'vai...
সুমন কেহেরমান at 11:37am April 24
ইহা ১০০% খাটি মাল। কোনো ভেজাল নাই। কেহেরমান গাজা খাইতে পারে, কিন্তু কোনো ভেজাল বলে না।
আমি জারি করছি দোররা কাউয়া পৃথিমীর শেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা। যে ইহা মানবেন না, না মানেন। ইহাতে কেহেরমানের কিছুই যায় আসে না। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ বলেছেন, ইহার তুল্য অন্য কেহ কোনো কবিতা দেখাইতে পারিবে না। ইহা এক নম্বর। এক নম্বর। অবশ্যই এক নম্বর।
এই কবিতাটি আসলে রচিত হয়েছিল পাঁচ হাজার বছর আগে। শেহেরজাদীর জন্মেরও বহু আগে। বাদশাহ নামদার শেহেরজাদীর অতি কামুক গল্প শুনে যখন তার মাল আপনি আপনি বের হয়ে যেত, তখন শেহেরজাদী কাপড় খুলে নাঙ্গা হয়ে এই কবিতাটি বাদশাহের কানে কানে বলত। কারণ শেহেরজাদী নিজেও গল্পের প্রভাবে ভীষণ গরম। ইহা ঠাণ্ডা করার নিমিত্তে এই দোররা কাউয়া কবিতা বললেই বাদশাহ নামদার আবার কামদার হয়ে উঠতেন। এবং পুনরায় তিনি শেহেরজাদীকে ঠান্ডা করতে সক্ষম হতেন। আরব্য রজনীতে ইহা লেখা আছে।
পরীস্থানেও এই কবিতাটি হেরেমখানায় সোনা দিয়া খাটের সামনের দেওয়া বাঁধানো থাকত। আপনার জানেন কিনা, মিশর দেশীয় খ্লিওফেট্রা নাম্মী এক কালো সেক্সী রমণী এই কবিতাটি তার নগ্ন স্তনে আঠা দিয়া লাগিয়ে রাখতেন, যা তার মৃত্যুর পরে তার লাশের সাথে কবরস্থ করা হয়েছিল। এইটাই ছিল খ্লিওফেট্রার অন্তিম ইচ্ছা। ব্রাত্য রাইসু নওগাঁর কিএকটা খেয়ে যাদুর কাপেট পেয়ে গেছিলেন। সেই যাদুর কারপেটে করে ভ্রমণকালে মিশর দেশে গিয়েছিলেন। তখন খ্লিওফেট্রার কবর খুড়িয়া কবিতাখানা বের করে নিজের নামে প্রকাশ করেছেন। জাতির এক মহা উপকার হিসাবে কাজ করেছে। আপনাদের আমি আরও জানাই, বর্তমানে যেসব দেশে ভায়াগ্রা নিষিদ্ধ, সেইসব দেশে ভায়াগ্রার বদলে এই কবিতাটি ডাক্তাররা প্রেসক্রিপশন করছেন। আমাদের পোষা জ্ঞানী খপি সুভ্রত কুমার অগাস্ঠিন গুমেজ এই সকল সত্য ঘটনা জানেন। জানেন বলেই তিনি জারি করেছেন, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শেষ্ঠতম কবিতা- দোররা কাউয়া। অন্য কোনোটা নহে। পরিস্কার বিষয়টা?
অবিশ্বাসীরা কবিতা পড়া ছেড়ে দিন। কী, আর করবেন। আপনাদের কাব্য রুচি নাই। কিছুদিন চটি পড়ুন। তাহলে রুচি ফিরে পাবেন।
........................................................................................................................
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে/ ব্রাত্য রাইসু
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
...........................................................................................................................
সোহেল হাসান গালিবের নোট-
অস্তিত্বসংকটসংক্ষুব্ধ কবির পাশে দাঁড়াই আসুন
কিছুদিন হলো কবিতাকথা গুগলগ্রুপে কবিতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি ও তারিক টুকু পূর্বসূরিদের কাব্যকৃতির একটা খোলামেলা আলোচনা শুরু করেছিলাম। কোনো আড়াল না রেখে। স্বভাবতই প্রকাশ পাচ্ছিলো ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। এ আলোচনায় তারপর যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন। এবং কথার সূত্র ধরে পরিবেশের আনুকূল্য অনুভব করে কেউ কেউ ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন।
পাকেচক্রে এইখানে সমালোচিত হয়েছেন : ১. সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, ২. কামরুজ্জামান কামু, ৩. ব্রাত্য রাইসু, ৪. সুমন রহমান ৫. শামসুর রাহমান, ৬. আল মাহমুদ, ৭. মোহাম্মদ রফিক।
সুমন রহমান যেমন ব্যক্তিগতভাবে, আজিজ সুপার মার্কেটে, আমাকে জানিয়েছেন সুব্রতর কবিতা হয় না, বরং তার গল্প ভালো, আমি তেমনটা করি নি। আমি সুব্রতর কবিতাকে কীভাবে দেখি তা কবিতাকথায় সরাসরি লিখে জানিয়েছি। তখন সুমন ভাই আলোচনায় আসেন নি, তিনি এসেছেন শামসুর রাহমান, আল মাহমুদ প্রসঙ্গে কথা বলতে। কিন্তু আমি তো চেয়েছিলাম প্রায়-সামসময়িকদের নিয়ে আমরা ব্যক্তিসম্পর্ক ভুলে গিয়ে মনের কথা বলি।
এ থেকে আক্রান্তদের কারো কারো এ ধারণা তৈরি হলো, আমরা মোড়লিপনা করছি। এবং যেহেতু কালবিচারে আমরা শূন্যদশকে অবস্থান করি, সেহেতু এ বয়ানও হাজির করা হলো, গালিব ও টুকু শূন্যের ইজারা নিয়েছে। নিজেদের পছন্দ অপছন্দ থেকেই আমরা কথা বলেছি এবং বলার পর কেউ যখন জানতে চেয়েছেন, কেন তাকে একথা বলা হলো, তার ব্যাখ্যা হিশেবে যা আমরা ধারণ করি, তাই জানিয়েছি। তারিক টুকু সুব্রতদার দুটি বই নিয়ে কথা বলার পর, আমি কবিতাকথা গ্রুপে সুব্রতদার চিঠি পড়ে এ সংক্রান্ত নিজের ব্যাখ্যা হাজির করেছি। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ যখন প্রথম পাখি বলে নামের এক ফেসবুকিয়ান-এর কাছে আক্রান্ত হন, তখন সেখানে রাইসুদা যেমন প্রতিবাদ করেছিলেন, টুকুও করেছিলেন। আমি তখন ফেসবুকে পাখি বলে বা গোমেজের বন্ধু নই বলে বিষয়টি জানতাম না। কোনো অগ্রজের সাথেই আমরা এমন কোনো ব্যবহার করি নি যা শ্লীলতাকে অতিক্রম করে কিংবা তাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রান্ত করে। ভাস্কর আবেদিনের কথা আলাদা। বাকযুদ্ধে শিষ্টাচারের মাত্রা নিরূপণে মেধার ঘাটতি থাকতে পারে তার। সেক্ষেত্রে আত্মসংবরণে অনুদারতা সম্ভব আমারও।
ব্রাত্য রাইসুকে যতদিন ধরে দেখি আসছি, তাকে জানি তর্কপ্রিয়, প্রশ্নপ্রবণ ও যু্ক্তিজ্যান্ত মানুষ হিশেবে। স্রোতের বিপরীতে একা দাঁড়াবার ও চিন্তা জাগাবার শক্তি তার আছে। সেটা যত ভ্রমাত্মকই হোক না কেন। প্রিয় রাইসু ভাই, আপনি যে ফেসবুকস্থ "আলজিভের প্রকটন" লেখাটিতে গালিব ও টুকুকে প্রকারান্তরে শূন্যের ইজারাদার বললেন, তার যুক্তি কী? আর সুব্রতদাকে কাঙালভাবে এসব কী বললেন :
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
সুব্রতদা যা বলার তা তো তারিক টুকুকে লেখা চিঠিতে বলেই দিয়েছেন। আর কী শুনতে চান আপনি, রাইসুদা! আপনার কবিতা কেউ কেউ নিতে পারে না, সেটা দোষের নয় বোধহয়। তার জন্যে কন্ট্রিবিউশন নিয়ে কম্পেয়ার করতে হবে? উচিৎ কি তব ভ্রাত, অনুজেরে আপনি টানিয়া লও নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে!
আমি বরং এই ফোরামের বন্ধুদের সামনে কবিতাটা উপস্থাপন করছি, আসুন না আমরা কবিতা ধরে কথা বলি। আশা করছি এ ফোরামের সভ্যগণ নীরব থাকবেন না। কারণ এ কবিতাটিকে রাইসু ভাই কেন মরণকামড় দিয়ে ধরে আছেন তা যেমন বুঝছি না, একই সঙ্গে এ কবিতাটি সত্যি সত্যি কাদের মন ছুঁলো, তাও জানতে পারছি না।
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কা কা করে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে হিঃ হিঃ কী কী করে রে
পাতা ঝরে পাতা ঝরে পেয়ারার পাতা ঝরে রে
দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে কু কু করে রে
দোরা কাউয়া পাতি কাকের গোয়া মারে রে
পেয়ারা গাছে পাতি কাকের গোয়া মারে রে
ওরে আমার দোরা কাউয়া, দোরা কাউয়া রে,
পেয়ারা গাছে পেয়ারা গাছের পাতা ঝরে রে
ওরে আমার ঝরা পাতা, পাতাঝরা রে ।।
মূল নোটটি পড়তে খ্লিখ করুন-
http://www.facebook.com/inbox/readmessage.php?t=1034658156723&f=1&e=0#/note.php?note_id=72220558534&ref=mf
Written 19 hours ago • Comment • LikeUnlike • Report Note
You, Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Jahir Ahmed, Tarique Tuku and Maqsud Alam like this.
Tarique Tuku
Tarique Tuku at 3:44pm April 23
"তুমি তারিক টুকু এবং সোহেল হাসান গালিবের একটা কবিতা দেখাও যেই কবিতা আমার এই 'গোয়া মারা' কবিতার চাইতে কোনো দিক দিয়া ভালো।...সত্য সত্য বলো তো এই 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে'র কাছাকাছি আইতে পারে এমন কবিতা ওনারা দুইজনের কেউ লেখছেন?"
বহুদিন মনে থাকবে এই আকুতি। :)
Jahir Ahmed
Jahir Ahmed at 4:17pm April 23
ব্রাত্য রাইসু আজিজ মাক্কেটে আঃ আঃ করে রে
সুমন রহমান এঞ্জিও-তে ওঃ ওঃ করে রে
কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে...
সাজ্জাদ শরিপ আলু অফিসে ম্যাও ম্যাও করে রে
ব্রাত্য রাইসু সাজ্জাদ শরিপের পা চাটে রে... Read More
সুমন রহমান ব্রাত্য রাইসুর কলম চুশে রে
ওরে সুমন রহমান রে, ওরে সাজ্জাদ শরিপ রে
ওরে ব্রাত্য রাইসু রে, সবাই ফেসবুকে রে
তারা সবাই কোবতে লেখে রে, কোবতে চাটে রে
কলম চুষেরে, তেল মারে রে, আঙুল দেয় রে...
ওরে ওরে তারা উত্তুরাদিক রে...
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:29pm April 23
লেখা খুব ছোটো দেখতে পাচ্ছি। তাই পড়তেও অসুবিধা হলো। রাইসু এবং তার বন্ধু সুমন রহমানের বিষয়ে আমার কিছু বলার আছে বলে লিখছি। রাইসুকে চিনি নববই এর মাঝামাঝি থেকে। তখন তার বগলে নানা নতুন নতুন বই শোভা পেত(এখন যেমনটা করেন শামীম রেজা) এবং খুব উদ্ধত থাকতেন উনি। বাংলা কবিতায় তার সমান কীর্তি আর কারও নেই বলে প্রকাশ্যই বলতেন। তার সাথে যারা চলতো তারা তাকে বেশ অসম্... Read Moreমানই করতো ভেতরে ভেতরে। সাহিত্যের গ্রুপ যেটা বুঝায় এদেশে সেটা সবচেয়ে সফলভাবে করেছেন রাইসু, নিজেদের কিছু অনুগত বাহীনি তৈরী করে যেমন সাইমন জাকারিয়া, যেমন অবনি অনার্য বা ইমরুল হাসান। কোনো একজন পাঠকের কাছেও এই তিনজনের বিশেষ কোনো গুরুত্ব আজ পর্যন্ত দেখলাম না।
Iftekhar Ishaque
Iftekhar Ishaque at 5:30pm April 23
সুমন রহমান প্রসঙ্গ ভিন্ন। সুমন রহমানের বই ঝিঝিট নিয়ে তার আশা ছিল অনেক। একারণে তিনি বিভিন্ন লাইনঘাট করে সাজ্জাদ শরিফ পর্যন্ত পৌছান, সাজ্জাদ নাকি নিজে বলেছিলেন তিনি বইটির রিভিউ করবেন। এই কথা সুমন এখণো তার বন্ধুদের কাছে বলে বেড়ান। সাজ্জাদ বইটির রিভিউ নিজে না করায় সুমন যোগ দেন সাজ্জাদ বিরোধীদর সাথে।
আজিজ মাকের্টের কোনায় দাড়িয়ে গাজা খাওয়া এদের কাজ। এ... Read Moreখানে আপনি পাবেন, কাজল, রিফাত,কফিল আহমেদ এবং সুমন রহমানদের। সাজ্জাদ বিরোধীদের গ্রুপে যোগ দিলেও সুমন সমান্তরালভাবে সাজ্জাদের সাথে একটা নিবিড় সম্পর্ক রেখে চলেন এখোনো।কথিত আছে, সাজ্জাদ শরিফকে তার বন্দুদের সম্পর্কে বিষিয়ে তোলেন সুমন রহমান। এমনকী ২০০৬ এ সুব্রত এবং মাসুদ খানের বই বাদ দেয়ার পিছনেও বেশ হাত ছিল তার।
আপাতত এই থাক, ইলেকট্রিসিটি চলে গেছে, ল্যাপটপ এখনি বন্ধ হয়ে যাবে।পরে আরও লেখা যাবে
Tanvir Mahmud
Tanvir Mahmud at 8:19pm April 23
কেউ যখন বলেন আর কোন সাহিত্যকির্তী আছে কিনা তার কোন একটি বিশেষ লেখার কাছাকাছি আসতে পারে, আমার কাছে তখন ওই দাবিকে সঠিকই মনে হয়। এই দাবিতে এক শিশুসুলভ জেদের প্রকাশ আছে। আর আসল কথা হল, ওই কবিতার কাছাকাছি অন্য কবিতা কেনইবা দাঁড়াতে যাবে? ওই কবিতাটি কি কোন স্ট্যান্ডার্ড যার কাছে অন্য কবিতাকে পৌঁছাতে হবে? কেন কাউকে ওনার মাণ-BSTI পাশ করতে হবে? স্বাতন্ত্র্য কি ওনার ভেতর দিয়ে তৈরী হয়? আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বোধ করি আছে আমাদের।
সব কবির স্বাস্হ্য ও সৌন্দর্য কামনা করছি।
তানভীর।
Shaikh Muhammad Allayear
Shaikh Muhammad Allayear at 1:16am April 24
কবিতা লিখি বলে আমি আলোচ্য কবিতার কবি কে একজন কবিতা কর্মী হিসেবে বলতে পারিনা যে এটা একটা কবিতা না। কারন কবিতা একজন কবির নিজস্ব ষ্টাইল বহন করে। বরং কবি কে যুক্তি খন্ডানোর জন্য দাবী জানাতে পারি তাতে তার ষ্টাইল সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল হতে পারি।
আর পাঠক হিসেবে আমি এই কবিতাকে খারিজ করবো। আমার কাছে এটা কোন কবিতাই মনে হয়নাই। এই কবিতায় প্রতিটি লাইনের শেষে ... Read More"এ" ধ্বনিতে কতগুলো বিদঘুটে শব্দ উচ্চারনের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করা হইছে মাত্র।
কবিতায় অনেক সময় অনেক খিস্তি এসে হাজির হতে পারে, যদি সেটা দাবী রাখে আসার। কিন্তু সেই আসাটাকে আমি তখনি মেনে নেবো যখন তার টিউন টা ভালো লাগবে। আমার কাছে এই খানে "গোয়া মারে রে গোয়া মারে রে" এই ব্যাপার কে খিস্তি ছারা আর কিছু মনে হইলোনা।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:35am April 24
"দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে" কবিতাখান আমার ভাল লাগে নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:45am April 24
এতদিনে কবিতা পড়ে যে অভজ্ঞতা জমা হইছে, ভাল লাগার যে উপাদানগুলা নিজের ভেতর সক্রিয়, উক্ত কবিতার ভেতর সেই ভাল লাগার কোন উপাদানই নাই।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 2:47am April 24
#যে অভিজ্ঞতা - পড়তে হবে।
Mukte Mandal
Mukte Mandal at 3:01am April 24
"তোমার বা আমার মত বড় কবির পাঠক হইতে পারাই ওনাদের জন্য যথেষ্ট। আর এঁদের লেখাও এক সময় নিশ্চয়ই আমি পইড়া উঠতে পারব"
রাইসু ভাই, আপনে এইখানে বড় কবি মানে কী বয়সে বড় বুঝাইছেন? নাকি কবি হিসেবে বড় বুঝাইছেন?
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 4:30am April 24
কবিতাটা আমার ভালো লাগছে বলতে পারছি না, তবে "ভাল্লাগছে" পর্যন্ত বলা যায়।
Muzib Mehdy
Muzib Mehdy at 4:46am April 24
জীবনানন্দ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সেদিন ভূমেন্দ্র গুহ তাঁর বেঙ্গল ফাউন্ডেশনে দেয়া বক্তৃতায় বলেন যে, কবিরা এক ধরনের মানসিক রোগে ভোগেন। রোগের নামটা মনে রাখতে পারি নি। এই রোগ নিজেকে অনেক বড়ো কিছু একটা ভাবতে সহায্য করে। কারোর কারোর রোগের মাত্রাটা বেশি থাকে, রাইসুরও একটু বেশি আছে।
আর 'দোরা কাউয়া পেয়ারা গাছে' লেখাটা একটা ট্র্যাশ মাত্র।
Maqsud Alam
Maqsud Alam at 5:02am April 24
http://www.somewhereinblog.net/blog/mukhforrblog/10631
Papree Rahman
Papree Rahman at 6:58am April 24
An author’s personal life shouldn’t be discussed.
He/She might be a drunkard or a drug-addict in his/her personal life; that’s none of our concern.
We are supposed to care about his/her writing & not his/her private life.
Why Bratya Raisu showed up too much self-satisfaction about this poem only he can explain better.
He’s been tagged here.... Read More
So, we can wait & see.
Expectantly he’ll make things clearer.
Alif Dewan
Alif Dewan at 9:51am April 24
বাথ্য রায়চু "গুয়ামারা" কভিথাকানা লই এত গর্ভিত কেনু? সে পিতিভিকে একঠি "গুয়ামারা" উপুহাড় দিয়াচে, কিন্থুক পিতিভি তাহাকে দুই দিন বাদে বাদেই বিপুল্ল পড়িমানে গুয়ামারা দিয়া ছলিতেছে। তাহার "গুয়ামারা" হইথে উত্থম গুয়ামারা কুঝিথে গেলে কাহারটা পেলি কাহারটা বাছিভ, বুজিথে নারি।
বাথ্য রায়চুর কবিথা বিশয়খ গুড়াক্রিমি হইয়াচে। তাহাক ওশুদ পধান করা পয়ুজন।
Written 16 minutes ago • Comment • LikeUnlike
You and শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন like this.
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন likes this.
শরীফ খিয়াম আহমেদ ঈয়ন at 11:28am April 24
nice work কেহেরমান'vai...
সুমন কেহেরমান at 11:37am April 24
ইহা ১০০% খাটি মাল। কোনো ভেজাল নাই। কেহেরমান গাজা খাইতে পারে, কিন্তু কোনো ভেজাল বলে না।
Thursday, April 23, 2009
আমার প্রথম ইসতিহার-১
এই মেয়েটিকে আমি ভালবাসি। ওকে নিয়ে আমি একটি কবিতা লিখবো। কবিতাটির নাম সেবাদাসনামা। কারণ আমি সর্বদা সেবা পেতে ইচ্ছুক। কাউকে সেবা দিতে রাজি নই। তাতে যদি কেউ আমাকে হামিদ কারজাই বলে বলুক, আমার আপত্তি নাই। হামিদ কারজাই সম্প্রতি একটি আইন জারি করেছেন। সে আইনে প্রভু যাহা বলিবে তাহাই চুড়ান্ত। তখন কিছু আধুনিক মোল্লারা বললেন, একি বল্লেন হুজুর। তিনি যদি অসুস্থ থাকেন, তাহলেও? সেটা ভাবনার দরকার নেই। সেটা ভাবলে কি আইনটি জারি করতাম! আমি তালেবান নহি। আমি তালেবর!!
হামিদ কারজাইকে এবার সেরা সাহিত্যিক হিসাবে রসায়নে নোবেন প্রাইজ দেওয়া হবে। এটা প্রায় চূড়ান্ত। যদি সেটা ফস্কে যায় তাহলে দেশে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম কালো বর্ষসেরা পুরস্কারটি কিন্তু নিশ্চিত। ডেপুটি সম্পাদক মহোদয় এ ব্যপারে নিরেপেক্ষভাবে কথা দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ভুয়ার সংগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে যারা কাব্যক্ষেত্রে কাজ করছেন তারা আসলে প্রতিদিন গুড় দিয়ে ভাত খায়। আর হাতে হারিকেন নিয়ে ঘোরাফেরা করে। সেজন্য কবি হিসাবে তারা অতি কুজ্ঝটিকাময়। যারা ইতিহাসের সুরঙ্গপথে থপথপ করে চোঙ্গা মুখে উদিত হচ্ছে- তাদের সকলের জন্ম আশি সালে। এর আগের কবিদের আসলেই জন্মই হয়নি। হলেও ক্ষতি নাই। কারণ আমার উহাদের বাদ দিয়েছি। (লক্ষ্য করুন- আশি সাল! এইটা একটা মাইল ফলক। এই সময় দেশে দুইজন পীর সাহেব দেশে ফেরেন। একজন লন্ডন থেকে। তিনি গো আজম। তিনি বললেন, একাত্তর সালে পাকিদের সংগে থেইকা আমরা ভুল করি নাই। আরেকজন মার্কিন থেকা। তিনি হলেন আসল মাল। তিনি বললেন, এইবার মার্কসো সাহেবের অরিজিনাল চর্চা শুরু করিব। কেননা তাদের কমন শত্রু ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শ্যাষ।) তাদের প্রিয় সঙ্গীত- হুক্কা হুয়া। প্রিয় বৃক্ষ- তাল গাছ। কেননা এই আন্তর্জাতিক উদগীরিত ভাবনাবিশ্বে একমাত্র তালগাছই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে বিবেচিত এবং স্বীকৃত। তালগাছের রস অতি উপাদেয়- যদি তা অধিক বেলা পর্যন্ত রাখা হয়, তাহলে তাড়ি নামে সুপরিচিত। ইহা পান করলে অতি অভিনব ভাবান্দোলনের সৃষ্টি করে। এই তাল গাছনীতি নামে তারা একটি সংবিধানও রচনা করেছে। গেঞ্জিতে ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করছে। বিচারে যাহাই সাব্যাস্ত হোক না কেন, তালগাছটি আমার। হা, হা, হা। ইহার ভাবের আন্দোলন।
এই ডেপুটি অত্যন্ত শরীফ বংশের অন্যতম পীর। তিনি বলেছেন, তাকে এজন্য দুইখানা কবিতা উৎসর্গ করলেই হবে। নো চিন্তা। ডু ফুর্তি। দুইখানা নয়। কুড়িটি কবিতা লিখে তার নামে বাইশটি কবিতা উৎসর্গ করা হবে। এইটা ১০০% গ্যারান্টি। এই গ্যারান্টি যাদুকরের চেরাগের কাছ থেকে খাটি ভুট্টার ত্যাল মেখে পোক্ত করা আছে। সুতরাং প্রথম কালোর বর্ষসেরা পুরস্কারটি হাতের মুঠোয়।
ভেবেছিলাম, এ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মহোদয়ের সংগে কিঞ্চৎ বাতচিত করব। তিনি বললেন, তুমি আমার পত্রিকায় ব্লগ পেজ দেখো। ব্লগ পেজতো দেখি একজন থুর্শিদ সাহেব চোঙ্গা নিয়া বসে আছেন। বললেন, আমি কিছু নহি। আমি মাঝে মাঝে টল্প লেখার কোশেষ করি। আর বান্ধবীদের পয়সায় খাই দাই, ঘুরি ফিরি। ভৃত্য খাইসু সাব যখন পথে ঘাটে ধাক্কা খান তখন তিনি আমার চোঙ্গা ধার নেন। তিনি স্কিপট দেন, আমি তার মাল ছাড়ি। তিনি অতিশয় বিজি। ইতিমধ্যেই তিনি একখান পুরুষকার বাগাইছেন ভুট্টার ত্যাল বিতরণ করে। অচিরেইি আরেকখান তাকে দেওয়া হবে, জানানো হয়েছে। কারণ তার পারফরমেন্স ভাল। তিনি আগে নিয়ে ছাত্র ইনিয়নে ঢোল করতাল বাজাতেন। এখন সে বিদ্যা জিন্দা পীর কেবলার বাণী প্রচারে ভাল কাজ দিচ্ছে। শুনে দৈনিক কালো প্রত্রিকার অরজিনাল সম্পাদক বললেন, তুমি একটু লাইনে থাকো। পড়াশুনা করো। মৌ-লোভী হও। চার পাচটা নিক নাম নাও। তামিল সাহিত্য পড়ো। ইনটেলেক বাহাস করতে শেখো। তারপর দেখা যাবে। মুশকিল হল তার আবার চূলকানি রোগ আছে। এই বলে সাবেক কম্যু-পার্টির খাতা থেকে তিনি তার নিজের নাম কেটে নিয়েছিলেন। কম্যুরা আবার জঙ্গি হতে পারে। দেশের একমাত্র জিন্দা পীর বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ থাকতেই পারে। ক্ষমতাধর প্রতিটি রাজনৈতিক দলও জঙ্গি। তারা রামদা, কাটা রাইফেল, বোমা-গ্রেনেড নিয়ে যেভাবে পরস্পরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাতে অবিশ্বাস করার কোনোই কারণ নেই যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদি জঙ্গি, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী জঙ্গি, মায় কমিউনিস্ট জঙ্গি - সবই এদেশে আছে। ( জামাতি বা তালেবানি জঙ্গির উল্লেখ কিন্তু হুজুরে-আলা করেন নাই। জাতে মাতাল- তালে ঠিক। এবং লক্ষ্য করুন- দেশের সব ঘরে ঘরে দা, বটি, ছুরি, কাচি, খোন্তা কোদাল... পারিবারিক কাজের জন্য থাকে। হুজুরের সংজ্ঞা অনুসারের দেশের সব মানুষই তাহলে জঙ্গী। একা বাংলা ভাই নহেন!!)। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল প্রত্যেকটিই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস ছাড়া রাজনৈতিকভাবে তাদের টিকে থাকার কোনো উপায় নেই। (সন্ত্রাস শব্দটি হুজুর কবিতার মতো ব্যবহার করেছেন। তিনি একবার মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী! হুজুর সেবার অবশ্য খুব ঝাড়ি পাইছিলেন ছাত্রদের কাছে।) ... আমাদের এখনকার লড়াই ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক জনগণের লড়াই। এই দিকটি দ্রুত পরিস্কার করা দরকার। জনগণের লড়াইও ক্ষমতাসীন (?- কারা বুঝতে পেরেছেন আশা করছি: ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে- ১৯৭৫ , ১৫ আগস্ট; ১৯৯৬-২০০১, ২০০৯... সময়ে যারা ক্ষমতাসীন) জঙ্গি শক্তির বিরুদ্ধে বৈপ্লবিক গণতান্ত্রিক রুপ পরিগ্রহণ করতে পারে। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণকেও আমরা অস্ত্র হাতে লড়তে দেখেছি। ('দেখেছেন' শব্দটি লক্ষ্যণীয়- কারণ এই জিন্দা পীর সাহেব তখন কোনো চৈনিক কম্যুদের সাথে ছিলেন। তাদের নেতা মুক্তিযদ্ধের পক্ষে থাকলেও এই আমাদের একমাত্র জিন্দা পীর সাহেব কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী-শক্তির সংগে হাত মিলিয়েছিলেন। আরেকজন চৈনিক কম্যু তখন পাকিদের মুরুগি সাপ্লাই দিতেন আর জিন্দা পীর সাহেব দিতেন মশলা) পাকিস্তানী শাসকরাও এদেশের জনগণকে তখন 'জঙ্গি', 'দুষ্কৃতিকারী' ই্ত্যাদি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, প্রচারণা চালিয়েছে। আজ তাদের ভাষাই আমরা ফ্যাসিবাদীদের মুখে শুনি।
..ফ্যাসিবাদ ইতোমধ্যেই তার দাঁত এবং নখ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ফ্যাসিবাদ মোকবিলাই এখনকার প্রধান কাজ।
সুতরাং, খুব খেয়াল কইরা। এ ব্যাটা এক্স কম্যুর সংগে কথা বলার দরকার নাই। চেরাগের যাদুকর জিন্দাপীর সাহেব জিন্দাবাদ। তার লগে থাকা মানে আখেরের মেওয়া ফল পাওয়া আপনার নিশ্চিত।
হামিদ কারজাইকে এবার সেরা সাহিত্যিক হিসাবে রসায়নে নোবেন প্রাইজ দেওয়া হবে। এটা প্রায় চূড়ান্ত। যদি সেটা ফস্কে যায় তাহলে দেশে শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম কালো বর্ষসেরা পুরস্কারটি কিন্তু নিশ্চিত। ডেপুটি সম্পাদক মহোদয় এ ব্যপারে নিরেপেক্ষভাবে কথা দিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি ভুয়ার সংগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন- বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে যারা কাব্যক্ষেত্রে কাজ করছেন তারা আসলে প্রতিদিন গুড় দিয়ে ভাত খায়। আর হাতে হারিকেন নিয়ে ঘোরাফেরা করে। সেজন্য কবি হিসাবে তারা অতি কুজ্ঝটিকাময়। যারা ইতিহাসের সুরঙ্গপথে থপথপ করে চোঙ্গা মুখে উদিত হচ্ছে- তাদের সকলের জন্ম আশি সালে। এর আগের কবিদের আসলেই জন্মই হয়নি। হলেও ক্ষতি নাই। কারণ আমার উহাদের বাদ দিয়েছি। (লক্ষ্য করুন- আশি সাল! এইটা একটা মাইল ফলক। এই সময় দেশে দুইজন পীর সাহেব দেশে ফেরেন। একজন লন্ডন থেকে। তিনি গো আজম। তিনি বললেন, একাত্তর সালে পাকিদের সংগে থেইকা আমরা ভুল করি নাই। আরেকজন মার্কিন থেকা। তিনি হলেন আসল মাল। তিনি বললেন, এইবার মার্কসো সাহেবের অরিজিনাল চর্চা শুরু করিব। কেননা তাদের কমন শত্রু ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে শ্যাষ।) তাদের প্রিয় সঙ্গীত- হুক্কা হুয়া। প্রিয় বৃক্ষ- তাল গাছ। কেননা এই আন্তর্জাতিক উদগীরিত ভাবনাবিশ্বে একমাত্র তালগাছই তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি বলে বিবেচিত এবং স্বীকৃত। তালগাছের রস অতি উপাদেয়- যদি তা অধিক বেলা পর্যন্ত রাখা হয়, তাহলে তাড়ি নামে সুপরিচিত। ইহা পান করলে অতি অভিনব ভাবান্দোলনের সৃষ্টি করে। এই তাল গাছনীতি নামে তারা একটি সংবিধানও রচনা করেছে। গেঞ্জিতে ছাপিয়ে বিনামূল্যে বিতরণ করছে। বিচারে যাহাই সাব্যাস্ত হোক না কেন, তালগাছটি আমার। হা, হা, হা। ইহার ভাবের আন্দোলন।
এই ডেপুটি অত্যন্ত শরীফ বংশের অন্যতম পীর। তিনি বলেছেন, তাকে এজন্য দুইখানা কবিতা উৎসর্গ করলেই হবে। নো চিন্তা। ডু ফুর্তি। দুইখানা নয়। কুড়িটি কবিতা লিখে তার নামে বাইশটি কবিতা উৎসর্গ করা হবে। এইটা ১০০% গ্যারান্টি। এই গ্যারান্টি যাদুকরের চেরাগের কাছ থেকে খাটি ভুট্টার ত্যাল মেখে পোক্ত করা আছে। সুতরাং প্রথম কালোর বর্ষসেরা পুরস্কারটি হাতের মুঠোয়।
ভেবেছিলাম, এ বিষয়টি নিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মহোদয়ের সংগে কিঞ্চৎ বাতচিত করব। তিনি বললেন, তুমি আমার পত্রিকায় ব্লগ পেজ দেখো। ব্লগ পেজতো দেখি একজন থুর্শিদ সাহেব চোঙ্গা নিয়া বসে আছেন। বললেন, আমি কিছু নহি। আমি মাঝে মাঝে টল্প লেখার কোশেষ করি। আর বান্ধবীদের পয়সায় খাই দাই, ঘুরি ফিরি। ভৃত্য খাইসু সাব যখন পথে ঘাটে ধাক্কা খান তখন তিনি আমার চোঙ্গা ধার নেন। তিনি স্কিপট দেন, আমি তার মাল ছাড়ি। তিনি অতিশয় বিজি। ইতিমধ্যেই তিনি একখান পুরুষকার বাগাইছেন ভুট্টার ত্যাল বিতরণ করে। অচিরেইি আরেকখান তাকে দেওয়া হবে, জানানো হয়েছে। কারণ তার পারফরমেন্স ভাল। তিনি আগে নিয়ে ছাত্র ইনিয়নে ঢোল করতাল বাজাতেন। এখন সে বিদ্যা জিন্দা পীর কেবলার বাণী প্রচারে ভাল কাজ দিচ্ছে। শুনে দৈনিক কালো প্রত্রিকার অরজিনাল সম্পাদক বললেন, তুমি একটু লাইনে থাকো। পড়াশুনা করো। মৌ-লোভী হও। চার পাচটা নিক নাম নাও। তামিল সাহিত্য পড়ো। ইনটেলেক বাহাস করতে শেখো। তারপর দেখা যাবে। মুশকিল হল তার আবার চূলকানি রোগ আছে। এই বলে সাবেক কম্যু-পার্টির খাতা থেকে তিনি তার নিজের নাম কেটে নিয়েছিলেন। কম্যুরা আবার জঙ্গি হতে পারে। দেশের একমাত্র জিন্দা পীর বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ থাকতেই পারে। ক্ষমতাধর প্রতিটি রাজনৈতিক দলও জঙ্গি। তারা রামদা, কাটা রাইফেল, বোমা-গ্রেনেড নিয়ে যেভাবে পরস্পরের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে, তাতে অবিশ্বাস করার কোনোই কারণ নেই যে, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ আছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদি জঙ্গি, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী জঙ্গি, মায় কমিউনিস্ট জঙ্গি - সবই এদেশে আছে। ( জামাতি বা তালেবানি জঙ্গির উল্লেখ কিন্তু হুজুরে-আলা করেন নাই। জাতে মাতাল- তালে ঠিক। এবং লক্ষ্য করুন- দেশের সব ঘরে ঘরে দা, বটি, ছুরি, কাচি, খোন্তা কোদাল... পারিবারিক কাজের জন্য থাকে। হুজুরের সংজ্ঞা অনুসারের দেশের সব মানুষই তাহলে জঙ্গী। একা বাংলা ভাই নহেন!!)। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল প্রত্যেকটিই সন্ত্রাসী। সন্ত্রাস ছাড়া রাজনৈতিকভাবে তাদের টিকে থাকার কোনো উপায় নেই। (সন্ত্রাস শব্দটি হুজুর কবিতার মতো ব্যবহার করেছেন। তিনি একবার মুখ ফস্কে বলে ফেলেছিলেন, মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী! হুজুর সেবার অবশ্য খুব ঝাড়ি পাইছিলেন ছাত্রদের কাছে।) ... আমাদের এখনকার লড়াই ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক জনগণের লড়াই। এই দিকটি দ্রুত পরিস্কার করা দরকার। জনগণের লড়াইও ক্ষমতাসীন (?- কারা বুঝতে পেরেছেন আশা করছি: ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর থেকে- ১৯৭৫ , ১৫ আগস্ট; ১৯৯৬-২০০১, ২০০৯... সময়ে যারা ক্ষমতাসীন) জঙ্গি শক্তির বিরুদ্ধে বৈপ্লবিক গণতান্ত্রিক রুপ পরিগ্রহণ করতে পারে। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের নিরস্ত্র জনগণকেও আমরা অস্ত্র হাতে লড়তে দেখেছি। ('দেখেছেন' শব্দটি লক্ষ্যণীয়- কারণ এই জিন্দা পীর সাহেব তখন কোনো চৈনিক কম্যুদের সাথে ছিলেন। তাদের নেতা মুক্তিযদ্ধের পক্ষে থাকলেও এই আমাদের একমাত্র জিন্দা পীর সাহেব কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী-শক্তির সংগে হাত মিলিয়েছিলেন। আরেকজন চৈনিক কম্যু তখন পাকিদের মুরুগি সাপ্লাই দিতেন আর জিন্দা পীর সাহেব দিতেন মশলা) পাকিস্তানী শাসকরাও এদেশের জনগণকে তখন 'জঙ্গি', 'দুষ্কৃতিকারী' ই্ত্যাদি অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেছে, প্রচারণা চালিয়েছে। আজ তাদের ভাষাই আমরা ফ্যাসিবাদীদের মুখে শুনি।
..ফ্যাসিবাদ ইতোমধ্যেই তার দাঁত এবং নখ প্রদর্শন করতে শুরু করেছে। তারা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। ফ্যাসিবাদ মোকবিলাই এখনকার প্রধান কাজ।
সুতরাং, খুব খেয়াল কইরা। এ ব্যাটা এক্স কম্যুর সংগে কথা বলার দরকার নাই। চেরাগের যাদুকর জিন্দাপীর সাহেব জিন্দাবাদ। তার লগে থাকা মানে আখেরের মেওয়া ফল পাওয়া আপনার নিশ্চিত।
Subscribe to:
Posts (Atom)