Wednesday, April 29, 2009

কেহেরমানের দুটি পত্র- সুভ্রত ও ভৃত্য খাইসুকে লেখা। ইহা প্রচীন মিশরীয় গুপ্ত ভাষায় রচিত।

১. বৎস-সুভ্রত অগাস্টিন গুমেজ/
তোমার পত্র পড়ে আমি বিষণ্ন ও চঞ্চল হয়ে পড়েছি। তুমি যে সুললিত ভাষায় তোমার মনোবেদনা তারিক টুকু নামে শূন্য দশকের এক নব্য যুবা কবির উদ্দেশ্যে লিখেছ- লেখা হিসাবে উহা খারাপ নহে- কিন্তু লেখার ছত্রে ছত্রে যে লবণমিশ্রিত ক্রন্দন শোনা গেল তাতে পরিস্থানে একটি আরবী ঘোটকীর অকাল প্রসব হয়েছে। কোন অশ্বশাবক নয়- একটি কালো রঙের অশ্বডিম্ব প্রসবিত হয়েছে। তা দেখে সিন্দবাদ নামে এক বুড়ো হাবড়া নাবিক বিচলিত হয়ে কান্ট সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেছেন। কান্ট সাহেব তাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ভ্রাতঃ, ঈশ্বরের কিছুদিন ছুটি নেওয়া দরকার। এবং তার জায়গায় একটি অর্ধ নারীশ্বর কাজ করতে ইচ্ছুক। ঈশ্বর বলেছেন, আমি একটু বিজি আছি। আমার বদলে আমার ইবলিশকে ছুটিতে পাঠাচ্ছি। সেখানে ওই ব্যাটা কাজ করতে পারে। ডোন্ট ওরি, তুমি শেহেরজাদের কাছে যাও। শেহেরজাদ ঘাম মিশ্রিত কলেবরে যখন ফেসবুকের ফ্যানক্লাবের ফ্যানের নিচে হাওয়া খেতে থাকবে, তখন তুমি শেহেরজাদের মুখে মৃগ-কস্তুরি শোভিত তাম্বুল খেতে দিও তাহলে সে তোমাকে একটি সান্ধ্য ভাষায় (মহাত্মা সলিম উল্লাহ খানের মতে- ডিসকোর্স) গজল শোনাবে। তা শুনে তোমার যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে তার কোমল আঘাতে অশ্ব ডিম্বটির খোলস ভেঙে যাবে এবং উহার ভেতর হতে যিনি বের হবেন তিনিই সেই অর্ধনারীশ্বর। অর্ধেক নারী এবং অর্ধেক পুরুষ। দেখে ভড়কে যেও না। এটা বাইসেক্সুয়াল। চুল দেখে অনুমান করে নেবে। কোন কোন গবেষক একে হিজড়া নামেও অভিহিত করে থাকে। এই অধর্নারীশ্বর তোমাকে যে পত্র লিখবে- তাতে তোমার চোখের পানিতে লবণের বদলে অর্জিনাল কেরু কোম্পানীর সুগার এসে পড়বে। উহা সুইট। এবং নব প্রেরণাদায়ী। তোমার এই নবলব্ধ চোখের পানি লুভর মিউজিয়ামে রাখার প্রস্তাব চলছে। উহার জন্য যে বোতল প্রয়োজন তা তৈরির জন্য মজার (উচ্চারণ- মজ-হার) এনজিও উভিনিঘকে অর্ডার দেওয়া হয়েছে।
বৎস সুভ্রত, তুমি লিখেছে- তোমরা আশির দশকে লেখালেখি শুরু করেছিলে আগের দশকের কবিদের চেয়ে অন্যরকম ভাবে। কিন্তু আশির দশকের আগের কবিরদের তোমরা অসম্ম্মান করোনি। আশি দশকের আগের অধিকাংশ কবিরা পেয়ারা পাকিস্তান ভাঙ্গার ষঢ়যন্ত্রে ছিল। তাদেরকে তো তোমার মজার (মজ-হার) মজহাবের কবিদের অসম্মান করাই উচিৎ। অসম্মান করোনি কেন? তুমি ভুল করেছে বৎস। এই কথাটি তোমার উইথ-ড্র করা দরকার। তুমি কি দেখ নাই, সাজ্জাদ শরীফ নামীয় এক ঘোৎঘোৎকারী কহিছেন, আশিপূর্ববর্তী কবিরা ষঢ়যন্ত্রময়। এজন্য তারা বাতিল। তুমি কি এই বাণীটি ভুলে গেছ পাবলিকের প্যাদানীর ভয়ে? ভয়ে উল্টা গীত গাচ্ছ এখন? কেহেরমানের বৎসরা ভয় পাবে কেন? তুমি আমার প্রেস্টিজ পাংচার করে দিয়েছ।
তুমি নাসারা প্রজাতির হলেও তোমার লেখায় পৌত্তিলিক গালগল্প এসেছে। আমরা অপেক্ষা করেছি এইসব লিখে লিখে তুমি আগে হয়ে উঠো। পাবলিক তোমাকে চিনুক। তারপর তোমাকে আমরা পিকআপ করব। তোমার হাতে কলমের বদলে আমাদের চোঙ্গা তুলে দেব। তোমার মাথায় কিছু অশ্ববর (গোবর>অশ্ববর) ঢুকিয়ে দেব। তারপর সব কিছু যাদুদণ্ডের ইশারায় চলতে থাকবে। সে তুমি ভাল মত চলেছ। তুমি আমাদের হয়ে অনেক জায়গায় ফাল পাড়ছ। তোমার সার্ভিসে আমরা তৃপ্ত।
তুমি সুদুর অস্ট্রলিয়ায় বসেও এই সার্ভিস অব্যাহত রেখেছ কেন, তা আমরা জানি। তোমার দুশ্চিন্তা নাই। তুমি সম্প্রতি কবিতা লেখা ভুলে গেছ- কবিতার নামে হাবিজাবি যা লিখছ, সে সকল ছাইপাশ মদীয় প্রভাবিত সাহিত্য পত্রিকায়/ মিডিয়ায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এবং বৎস অপেক্ষা কর, সাজ্জাদ শরফিকে আমরা বলে দেব- পাঁচ হাজার বছর পরে হলেও তোমাকে দৈনিক প্রথম কালো বর্ষ সেরা কবির ম্যাডেল দেওয়া হবে। ইহা ১০০% খাটিঁ কথা বলে বিশ্বাস করো। সন্দেহ করিবে না।
আশরাফ শিশির নামে যে শূন্য দশকের কবিটি তোমার সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে, বুঝতে পারছি ইহা তোমার হৃদয় কন্দরে সে বড়ই আঘাত করেছে। এতো শিশিরের মতো নরম নয়। পাথরের টুকরা। তুমি এরকম আশা করনি। ভেবেছিলে সবাই, তোমাকে কুর্নিশ করবে। তার বদলে তোমাকে পশ্চাৎদেশ দেখাচ্ছে! বৎস সুভ্রত, দিনকাল খারাপ। এখন ঘোড়া ডিঙ্গাইয়া ঘাস খাওয়ার কাল এসে পড়েছে, যদি সে ঘোড়াটি আবার তোমার মত মৃত ঘোড়া হয়। কী করা যাবে বল। ইহাদের পাখনা গজিয়েছে। উহারা মুক্ত আকাশে উড়িতে শিখেছে। তোমাদের গলায় আমরা গোছড়( গরুর দড়ি) পরাতে পেরেছি। আর ভুট্টার ত্যাল মর্দন করার সুযোগ পেয়েছি তোমাদের পৃষ্ঠদেশে। বলেছি, চালিয়ে যাও আমার দুলকি ঘোড়া, তুমিই হলে সেরা, সেরাদের সেরা। এইসব শুনে তোমাদের পাখনা গজাবার কোনো চান্স ছিল না। তোমাদের মগজে আমাদের অশ্ববর, চোখে যাদুর চশমা দিয়েছি। যা দেখতে বলতাম, তাই তোমরা দেখতে। যা বুঝতে বলতাম, তাই বুঝতে। যা বলতে বলতাম, তাই বলতে। যা লিখতে বলতাম, তাই বিনা প্রশ্নে লিখতে। তোমরা ছিলে- প্রশ্ন নাই, উত্তরে পাহাড়। এখনো তোমরা এই পথেই (মজার মজহাবে) আছ। তোমরা পথচ্যুত হও নাই। এ কারণে আমরা টিকে আছি। কিছু করে খাচ্ছি। মুশকিল হল এইসব উঠতি পোলাপাইন শূন্য শূণ্য করে আমাদের সকল শূণ্য করে দিচ্ছে। আমাদের কালা যাদুমন্ত্র ওদের কাছে ফেইল। এখন ভুট্টার ত্যালে কোনো কাজ হচ্ছে না। উহার যথা ইচ্ছা তথা যায়। উহাদের গলায় বাধবার মতো কোনো গোছড় আমাদের নাই। আর আজকাল দেশে এত বেশি গাজর ফলছে যে, ওদের চোখের জ্যোতি অনেকের চেয়ে খরসান। চশমার দরকার হয় না। যা সত্যি- খালি চোখে সেই সত্যি জিনিসটাকে দেখে। সত্যি কথাটাই সত্যি করে বলে। মিথ্যে করে বলতে ওরা পারে না। কি করব বল! এখন যা দিনকাল পড়েছে- যে ভয় পেতে চায়, সেই কেবল ভয় পায়। আর যে ভয় পেতে চায় না ,তার জন্য আমার কিছু করার নাই। দিন বদলালে এরকমই হয়। আমাদের আছর আর তরুণদের উপর কাজ করছে না।
মজনু শাহকে তুমি একদিন বানান শিখিয়েছ। সে তোমাকে ল্যাং মেরে এমন সব কবিতা লিখতে শুরু করেছে যা তোমরা তোমাদের বাপের জন্মেও লিখতে পারনি। আর এই সোহেল হাসান গালিব আর তারিক টুকু যা সব লিখছে, মনে হচ্ছে তোমার দিন শ্যাষ। তোমার রিটায়ারমেন্টে যাওয়ার সময় আইসা পড়ছে। তোমার প্রস্থান করা দরকার। পেছনের দরোজা খোলা আছে কিনা এইটা খুব খেয়াল কইরা দেইখো। আর সাথে একসেট হাফপ্যান্ট অতিরিক্ত রাখতে ভুল করবা না। এইটাই তোমার এবং তোমার মত ভৃত্যদের এখনকার একমাত্র দাওয়াই। ডোন্ট ওরি। ক্রন্দন করিও না। ক্রন্দন করিয়া কি হইবে? পুথিবীতে কে কাহার! দেখো নাই, তোমার কারণে কতো নেল্লি বেল্লি কতো চেল্লাছেল্লি করছে। তুমি না হয় আজ একটু চেল্লাচেল্লি করলে। নতুন অভিজ্ঞতা আর কি। আর দাওয়াইটা মনে রেখো। খুব খেয়াল কইরা। আর সেই সুসমাচারবাহী অর্ধনারীশ্বর তোমাকে কি পত্র দিয়েছে। পত্রটি দিনে তিনবার পাঠ করিবে।
ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)

২. বৎস- ভৃত্য খাইসু/
কেমন আছো পেয়ারা ভৃত্য। তোমার কথা মনে পড়িলে দিলে পানি পাই। আবার দিলে চোটও পাই। তোমার দশা পাবলিক যে হারে ছেরাবেরা করে দিচ্ছে তাহা আমাদের কাছে অকল্পনীয়। কী হইতেছে বুঝিতে পারিতেছি না। তবু 'তুমি' বলিয়া আছ- এবং আছে। এবং থাকিতে চেষ্টা করিতেছ। ইহা নবম আশ্চর্য।
তুমি হলে গিয়ে উত্তরাধুনিক সন্ত। সন্ত মানে সাধু। তোমাকে এইজন্য সাধু ভাষায় লিখিতেছি। যদিও তুমি নিজে অসাধু ভাষায় লিখিয়া সিদ্ধি খাও। তোমাকে কিন্তু সাধু খাষায় লিখিয়া বড়ই উত্তেজনা পাইতেছি। উত্তেজনা না থাকিলে ঘরে-বাইরে যে বিপদ। এইটা তোমার চেয়ে আর কে ভাল জানে!!
তুমি যে সার্ভিস দিতেছ, তা ইতিহাসে বিরল। তুমি তো জানো, এতকাল (কোন কাল?) যে ইতিহাস লেখা হইয়াছে মার্কসো সাহেব কহিয়াছেন , তাহা ভুয়া। অর্জিনাল ইতিহাস লেখা শুরু হইয়াছে। ইহার প্রথম পাঠ হইল- সেবাদাসনামা। এই সেবাদাসনামায় তোমার স্থান হইবে তিন নম্বরে। ইহা সত্যি বলিয়া বশ্বাস করিও। কোনো সন্দেহ করিও না। কখনো আমাদের অবিশ্বাস করো নাই। কদাচিৎ করিবে না। বলো, মারহাবা।
তোমার যখন জন্ম হইয়াছিল, সেদিন তুমি জন্মিয়াই কু কু ধ্বনি উচ্চারণ করিয়াছিলে। ইহার সাক্ষ্য হায়ারোগ্লিপে উল্লেখ আছে। সেদিন রাত্রিকালে নীল মেঘমুক্ত আকাশ হইতে তিনটি বজ্রপাত হইয়াছিল। ইহাতে তিনটি তালগাছের মাথা পুড়িয়া যায়। আর এই তাল গাছের গ্যাজানো রস হইতে যে তাড়ি উৎপন্ন হয়, তাহা হইতে পরিস্থানে তিনটি বায়সপাখির (কাউয়া) উদ্ভব হয়। ইহাকে পরে দোররা কাউয়া হিসাবে সনাক্ত করে অতি আহ্লাদিত হন প্রাচীন মিশরীয় নগরী আলেক্সান্দ্রিয়া নগরীর একজন অতি উত্তেজক রমণী খ্লিওপেত্রা। সেই দোররা কাউয়ার একজন হইলেন- ব্রুটাস, দ্বিতীয়জন- মীর জাফর আলী খান এবং তৃতীয় জন হলেন গোযেবলস। (এ্যাজটেক সভ্যতার ইতিহাস এই সাক্ষ্য দেয়- আরেকজন আখেরী দোররা কাউয়া আসিবেক।) এই গোয়েবলস শব্দটি হইতেই তোমার অতি পেয়ারা কাব্যভাবনা- 'গোয়ামারা' এসেছে। অন্য কেউ ঠাট্টা করলেও তুমি কিন্তু হতাশ হইও না। ইহা ১০০% খাটি সরেস মাল। তোমার খালেস দোস্ত সুভ্রত ইহাকে বাংলা ভাষায় সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমিত ভাষা হিসাবে আবিষ্কার করিয়াছে এবং মনে করিতেছে এই আবিষ্কারের জন্য সে রসায়ন শাস্ত্রে একটি নোভেল প্রাইজ পাইলেও পাইতে পারে। সে শব্দটি যাদুঘরে সংরক্ষণ করিবার জন্য বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্পে একটি প্রস্তাব দাখিল করিয়াছিল। কিন্তু উহা বর্তমানে ফ্রিজ হইয়া আছে। আমরা চেষ্টা করিব যাদুবলে এই ফ্রিজটি ভাংগিয়া ফেলিতে। বাংলাদেশে কারেন্টের যে অবস্থা তাতে ফ্রিজের দরকার কী। ফ্রিজের টাকা দিয়া আজিজের চিপায় বসিয়া আমার লগে গাঞ্জা ফোঁকা বেশি ভাল। বল বৎস, মারহাবা।
তুমি ঠিকই ধরিয়াছ, সুভ্রত এই শুণ্য দশকের কবিদের পেছনে যে শ্রম দিয়াছে উহা ধোলাইখালের পানিতে গিয়াছে। কোনো কাজে আসে নাই। উহারা সুভ্রতর আছর মানে নাই। সুভ্রতর মাথার ইস্ক্রু একটু ঢিলা আছে। (আমি চেষ্টা করিয়াছিলাম টাইট দিতে। আমার যাদু দণ্ড কাজ করিতেছে না আগের মতো। তাছাড়া পাবলিকে যেই হারে আমার বেলুন ফুটা করিয়া দিতেছে- তাহাতে আমার নিজের অবস্থাই চিটাগুড়।) সুভ্রতর আগের ধার নাই। শুণ্য দশকের মেধাবী খরসান দৃষ্টির কবিরা ধারহীন লোকের কথাকে পাত্তা দিবে কেন? এইটা বোঝার হিকমত গাধারও আছে। সুভ্রতর নাই।
দুঃখ করিও না ভৃত্য খাইসু। তুমি তো জানো- তোমার মেরুদন্ডের তেত্রিশখানা হাড় নাই। আমার কয়েকটা বদলাইয়া দিছি। তুমি আমাদের বলির পাঠা। তুমি আমাদের হয়ে অবিরাম ব্যা ব্যা করিতেই আছ- আর পাবলিকে তোমার কান মলিতেই আছে। তুমি ইহাতে মাইন্ড খাইতেছ না। তুমি চিরকাল এইরকম করিতেই থাকেবে। এই এ্যাকশনে একশোতে দুইশোভাগ তুমি সফল।
আমরা ঠিক করিযাছি এই সাকসেসের জন্য আমার তোমার একটি মর্মর এবং জর্জর মুর্তি তৈরি করা হইবে। ইহা তৈরি করিবেন মৃণাল হক। শিব গড়িতে বান্দর গড়িবার বিশেষ পারদর্শিতা তাহার আছে। মুর্তিটির পশ্চাৎদেশে কোনো কাপড় থাকিবে না। কি করিয়া থাকে? তোমার সার্ভিসে পাবলিক জে হারে তোমার কাপড় নষ্ট করিতেছে, তাহাতে ঐ কাপড়ের কৌমার্য নিয়া কোনো কোনো আফগানিস্তানের মৌ-লোভী কতিপয় প্রশ্ন উত্থাপন করিয়াছে। করুক গিয়া। কাপড় কি দরকার? তুমি হইলে নাঙ্গা হাবসী খোজা ভৃত্য। তোমার কৌমার্যের প্রশ্ন তো অবান্তর। তোমার এই মুতিৃটি চাঙ্খার পুলের সামনে স্থাপন করা হইবে। মুতির্টির নিম্নাঙ্গে লেখা হইবে-
ইনি হইলেন মহাকবি ভৃত্য খাইসু। ইনি জন্মের আগে হইতেই গোয়াবা (Gouva-গয়া, পেয়ারা) ট্রি পছন্দ করিতেন। সেই গোয়াবা ট্রির পাতার ভিতরে দেররা কাউয়া খুজিতেঁন। দোররা কাউয়ারা বিশেষ কর্মকালে যে কু কু শব্দ করিত - সেই কু কু শব্দটি ছিল তাহার আত্মার ভাবের সংগীত। ইহার কারণে তিনি জগতে দোররা কাউয়া হিসাবে ক্কুখ্যাতি পাইয়াছিলেন।
ইনি যাহা লিখিতেন তাহা ছিল অপলেখা। কিন্তা তাহার একজন খালেস দোস্ত ছিলৈন , তাহার নাম সুভ্রত- তিনি এই অপলেখাকে বলিতেন সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা। আর এই সর্বশ্রেষ্ঠ কবিতা দোররা কাউয়ার লিখক ভৃত্য খাইসুই হইলেন মহাকপি। আর ইহার বিনিময়ে মহাকপি সুভ্রতকে বলিতেন সেরা জ্ঞানী কপি। এই দোস্তপ্রীতি জগতে একপি ঐতিহাসিক ঘটনা- যাহা ভণ্ডমীর নবতর অধ্যায় হিসাবে সেবাদাসনামা ইতিহাস গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হইতেছে। প্রচীন খাবনামায় ইহার সাক্ষ্য মিলিবে। এবং নষ্ট্দামুস অতি গুহ্যতন্ত্রে লিখিয়াছেন যে, এই দোররা কাউয়ারি সমকক্ষ কবিতা লিখিতে সক্ষম হইবেন একমাত্র দোররা কাউয়াই। টুকু বা গালিবের কোনো কবিতাই দোররা কাউয়ার কাছে ঘেষিতে পারিবে না। কেননা এই কবিদ্বয়ের মস্তিস্কে কোনো পয়ঃমাল নাই। একদম ফেরেস। তাই উহারা ভৃত্য হইবার যোগ্যতা হারাইবে। এই সাক্ষ্য আরব্য রজনীর এক রাত্রিতে শেহেরজাদ ঘুমন্ত বাদশাহের সামনে প্রকাশ করিবেন।
কিন্তু ভৃত্য খাইসু, আমি তোমার পত্রটি পড়িয়া একটি বিশেষ কারণে যার পর নাই চিন্তিত। তুমি কেন ইদানিং ঘাস পছন্দ করিতেছ? তাও আবার যে সে ঘাস নহে। শূন্য দশকের কবিদের কবরের উপর যে ঘাস জন্মাইবে- তাহাই তোমার পছন্দ! বিষয়টা কি? ঘাসতো গবাদি পশুর খাদ্য। তোমার কি শারীরিক কোনো পরিবর্তন ঘটিয়াছে? তোমার কি আরও দুইখানা ঠ্যাং গজাইয়াছে? নতুন করিয়া ল্যাজ গজাইয়াছে? বুঝিতে পারিতেছি না। আমি ভয়ানক চিন্তিত। একজন ভেটেরিনারী ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা দরকার। খুব খেয়াল কইরা।
মন দিয়া শোনো-
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....
কু কু করে রে....

হুম।


ইতি-
সুমন কেহেরমান। (অর্জিনাল-১০০% খাটিঁ। ভেজাল নাই)

No comments:

Post a Comment